কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু ডিসেম্বরে

মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী মাসেই। ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, আসছে বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই আংশিকভাবে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হবে। আর জাপানের রাষ্ট্রদূত বলছেন, মেট্রোরেলসহ চলমান বড় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের চেহারাই বদলে যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে তিন প্রজন্মের তিন তারকা ক্রিকেটারের ব্যাটের বদলে হাতে ইলেট্রনিক টিকিট নিয়ে ছুটছেন মেট্রোরেলে চেপে বসতে। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের মূল স্টেশনে হাজির হয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ দেখে অভিভূত জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়রা। এরই মধ্যে, দেশের প্রথম বিদ্যুচ্চালিত এ উড়াল ট্রেন উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করেছে। আরও কয়েক ধাপে পরীক্ষার পর যাত্রীদের সেবায় চালু হবে ঢাকা মেট্রোরেল। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানান, মেট্রোরেলে বসে ক্রিকেটারদের সঙ্গে গল্প করছি, এটাই তো বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক। শুধু মেট্রোরেল কেন, চলমান সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই দেশের চেহারাই পাল্টে যাবে। আমরা চাই, বাংলাদেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক। পারফরম্যান্স টেস্টে এর আগে ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার গতিতে এই ট্রেন চললেও, মঙ্গলবার তা চলে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে। ২৫ কিলোমিটার গতির ওপরে ট্রেন চলাচলের পরীক্ষা হবে সবার শেষে। প্রায় ৬ মাস চলবে পারফরম্যান্স টেস্ট। মেট্রোরেল প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। গত জুলাই পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৬৮ দশমিক চার নয় শতাংশ। ২১ কিলোমিটার উড়ালপথের মধ্যে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান প্রায় সাড়ে ১৬ কিলোমিটার।