রোনালদোদের আবারও হার, এমবাপ্পে-মেসি জেতালেন পিএসজিক
ে
একটু আগে–পরে আজ মাঠে নেমেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। দ্বিতীয়ার্ধে ২০ মিনিটের একটু বেশি বাকি থাকা অবস্থায় একজন করে সতীর্থ হারিয়েছেন দুজনই। কিন্তু দিন শেষে রোনালদো যখন হারের জ্বলুনি কমানোর উপায় খুঁজছেন, মেসি তখন পিএসজির হয়ে লিগে প্রথম গোল করার আনন্দে জয়ের আনন্দ মেশাচ্ছেন।
আজ ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ১০ জনের দল নিয়ে ৪-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওদিকে ১০ জনের দল নিয়েও নঁতেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল ইউনাইটেড। সেদিন ২-০ গোলে হারলেও ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড। দুই সপ্তাহের বিরতি শেষেও ইউনাইটেডের খেলায় কোনো উন্নতির ছাপ নেই। সে সঙ্গে অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়ারের বোকামি নিশ্চিত করেছে, রোনালদো অন্তত আজ আর শেষ মুহূর্তে দলকে বাঁচাতে পারবেন না।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যে ইউনাইটেডকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া। ৮ মিনিটে ইসমাইলা সারের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। ফিরতি বল থেকে কিকো ফেমেনিয়া গোল করেছিলেন। কিন্তু ভিএআর চেক করে জানায়, ফেমেনিয়া আগেই বেরিয়ে পড়ছিলেন। পেনাল্টি নতুন করে নিতে এলেও সারকে আবার হতাশ করেন দে হেয়া। কিন্তু প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় ওয়াটফোর্ড। জশুয়া কিংয়ের পর বিরতির একটু আগে পেনাল্টি নষ্ট করার দায় মেটান সার। সে গোলে তাঁকে সহায়তা করেছেন ফেমেনিয়া!
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইউনাইটেডকে ম্যাচে ফেরান বদলি নামা ফন ডি বিক। সাঞ্চোর ক্রস থেকে হেড করে বিককে বল বাড়িয়ে দেন রোনালদো। হেড করেই ব্যবধান কমিয়েছেন বহুদিন দলে ব্রাত্য হয়ে থাকা ডাচ মিডফিল্ডার। পরের ১০ মিনিট ম্যাচে ফেরার মতোই খেলছিল ইউনাইটেড। কিন্তু দলের সব আশা শেষ করে দেন অধিনায়ক ম্যাগুয়ার। ৬২ মিনিটে সারকে আটকাতে গিয়ে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন। ৭ মিনিট পর পায়ের কাজ দেখাতে গিয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেন। ভুল ঢাকতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে টেনে ধরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ম্যাগুয়ার। যোগ করা সময়ে দুই গোল ওয়াটফোর্ড ইউনাইটেডের জ্বলুনি বাড়িয়ে দিয়েছে।
ওদিকে লাল কার্ডকেও নিজেদের জয়ের পথে বাধা হতে দেয়নি পিএসজি। ২ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর আরও অনেক সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কিন্তু মেসি একের পর এক স্বভাববিরুদ্ধ সুযোগ নষ্ট করেছেন। ৬৫ মিনিটে এর দায় মেটাতে হবে বলে মনে হয়েছিল যখন লুদোভিচ ব্লাসকে আটকাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। নেইমারকে তুলে নিয়ে গোলরক্ষক রিকোকে নামান পচেত্তিনো। কিন্তু ৭৬ মিনিটে নঁতের সমতা ফেরানো ঠেকাতে পারেননি রিকো।
ম্যাচটা যখন সমতায় শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে, তখন ভাগ্য ফিরে তাকায় পিএসজির দিকে। ৮১ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। আর ৮৭ মিনিটে মেসির গোলখরা কাটানোর ব্যবস্থা করেন এমবাপ্পে।
Tag: English News games
No comments: