লিড পেয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেই নাকাল অবস্থা বাংলাদেশের
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড নিয়ে ভালো সুখবর দিয়েছিল বাংলাদেশ। আশা জাগিয়ে ছিল ভালো কিছু করার। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাকাল অবস্থা স্বাগতিকদের। ১৫ রানের মাথায় হারিয়ে বসে তিন গুরত্বপূর্ণ ব্যাটারকে।
এরপর চতুর্থ উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও সাইফ হাসান। কিন্তু পারলেন না থিতু হতে। দলীয় ২৫ রানেই ফিরে গেলেন সাইফ হাসান।
এর আগে তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। মুমিনুলরা প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৩০ রান। তাই প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।
অবশ্য ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটররা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা। দিন শেষে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক। তবে আজ দিনের শুরুতেই এই শক্ত জুটি ভাঙেন তাইজুল। ফিরিয়ে দেন শফিককে। আগের দিন ৫২ করা শফিক আজ স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেননি।
তিনে ব্যাট করতে নামা আজহারকেও টিকতে দেননি তাইজুল। গোল্ডেন ডাকে তাঁকে সাজঘরে পাঠান এই স্পিনার।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের প্রতিরোধ ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনেই মিরাজের করা বল অফ স্টাম্পে পড়ে সোজা যাওয়ায় লাইনে যেতে পারেননি বাবর। সরে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। তবে সফল হননি। বল চলে যায় স্টাম্পে। ভাঙে ২৩ রানের জুটি। ৪৬ বলে ১০ রান করেন বাবর। এরপর রিজওয়ানকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান ইবাদত।
সতীর্থরা আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত থাকলেও থিতু ছিলেন আবিদ। তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে শেষ পর্যন্ত থামান তাইজুলই। দ্বিতীয় সেশনে আবিদকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। ২৮২ বলে ১৩৩ রান করে থামেন এই ওপেনার। শেষ হিকে ফাহিম আশরাফ ৩৮ রানের একটি ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ১১৬ রান দিয়ে সাত উইকেট নেন তিনি। ৪৭ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন ইবাদত। আর মেহেদী হাসান মিরাজ পান একটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেন লিটন। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান।
Tag: English News lid news world
No comments: