দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বাড়াতেই খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে চেয়েছিল বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি
‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-তৎপরতা বাড়াতেই বিএনপি খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে চেয়েছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়াকে তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান, এর আইনি কোনো সুযোগ নাই এবং তাদের বিদেশে নেওয়ার উদ্দেশ্য ভিন্ন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া নয়, বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনীতি এবং বিদেশ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে এখন যে ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করা হয়, সেগুলোকে আরও তৎপর করা।
‘খালেদা জিয়ার ঠিক জন্মদিন কোনটা, সেটা জনগণ জানতে চায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের পাসপোর্টে একটা জন্ম তারিখ, স্কুল সার্টিফিকেটে আরেকটা, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে অন্য একটা, আবার করোনা রিপোর্টে আরেকটা জন্ম তারিখ—আপনাদের ঠিকটা কোনটা, সেটা জনগণ জানতে চায়। এই ধরনের ভাঁওতাবাজির রাজনীতি, মিথ্যার রাজনীতি, জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার রাজনীতি পরিহার করুন। টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে দিয়ে সরকারের সমালোচনা করলেই রাজনৈতিক দল হওয়া যায় না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ সময় বলেন, ‘আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। বিএনপি এবং খালেদা জিয়াই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। সেজন্যই তারা ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, ১৯৯৬ সালে পাতানো নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বিরোধী দলীয় নেতা বানানো হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার তারা বন্ধ করেছিল।’
জননেত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে আদালতে জামিন না পাওয়ার পরেও প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়াকে আজ প্রায় দেড় বছর ধরে কারাগারের বাইরে রেখেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নেত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না, বরং আমাদের নেত্রী যে সহমর্মিতা, যে সহানুভূতি প্রদর্শন করেছেন, তা থেকে বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার অনেক কিছু শেখার আছে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি মো. সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলমসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
Tag: English News politics
No comments: