গাংনীতে পচা চাল নিয়ে চালবাজি ; মােটরশ্রমিকদের তােপের মুখে চাল বিতরণ বন্ধ
মেহেরপুরের গাংনীতে মােটরশ্রমিকদের মাঝে পচা চাল (খাবার অযােগ্য) বিতরণ করতে গিয়ে বিপাকে গাংনী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ওসি (এলএসডি) হাসান সাব্বির। অভিযােগ সূত্রে জানা গেছে,করােনাকালীন সময়ে কর্মহীন মোটরশ্রমিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে শ্রমিক প্রতি ২৫ কেজি চাল দেয়ার ঘােষণা দেয়া হয়।
সরকারী এ ঘােষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলার ৭শ জন মােটর শ্রমিকের মাঝে চাল বিতরণ করার প্রস্তুতি চলছিল। গাংনী উপজেলা অডিটােরিয়ামে চাল বিতরণের আগে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে পচা চাল নিয়ে আসা হয়। এসময় শ্রমিকরা গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ-এর কাছে সরাসরি অভিযােগ করেন।
অভিযােগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা অডিটোরিয়ামে পরিদর্শনে আসেন। এবং পচা চাল শ্রমিক বা অন্য কারাের মাঝে বিতরণ না করার জন্য খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষকে হুশিয়ারি দেন। এসময় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে পচা চাল বিতরণের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে দায়ি করেছে সচেতনমহল। সচেতন মহলের অভিযােগ গত ৯ দিন গাংনী উপজেলা খাদ্যগুদামে নিম্নমানের অর্থাৎ পচা চাল স্বল্প মূল্য ক্রয় করে গুদামজাত করা হয়েছে এমন অভিযােগ করেছিলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দরা।
তাদের এ অভিযোগের ভিত্তিতে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মােহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খােকন,গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক এবং গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ ওই সময় অর্থাৎ গত ৯ দিন আগে উপজেলা খাদ্যগুদামে পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনে এসে ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগের সত্যতা পান। পরিদর্শন শেষে সংসদ সদস্য মােহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খােকন পচা চাল কারাের মাঝে বিতরণ যেনাে না করা হয়। সে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক একই নির্দেশনা প্রদান করেন। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে কেন এসব পচা চাল বিতরণ করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এদিকে গাংনী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ওসি (এলএসডি) হাসান সাব্বির জানান,গুদামে মজুদকৃত এ চাল আমার আগের দায়িত্বরত ওসি (এলএসডি) মতিয়ার রহমান ৮ মাস আগে ক্রয় করেছিলেন। আসলে,ওই সময় সরকারী নির্দেশনায় ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করেছিলেন ওসি (এলএসডি) মতিয়ার রহমান। তখন চালের মূল্য ছিল ৪০ টাকা কেজি দর। তাই বাধ্য হয়ে নিম্নমানের চাল কিনতে হয়েছিল। তারপরও চাল বেশিদিন গুদামে রাখার কারণেই এমনটি হয়েছে।
Tag: others Zilla News
No comments: