দেশে টিকায় কাজ হচ্ছে, গ্রহীতার শরীরে একমাসে ৯২ শতাংশ এন্টিবডি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ঘোষিত লকডাউনে ঈদের আনন্দ স্বজনদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে মানুষ শহর ছেড়ে গাদাগাদি করে গ্রামে যাচ্ছেন। ঈদের পরে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কার মধ্যেই বুধবার (১২ মে) রাতে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহীতাদের জন্য এক স্বস্তির বার্তা দিলো সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আইইডিসিআর বলছে, করোনা প্রতিরোধী টিকা গ্রহীতারদের মধ্যে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের শরীরে চার গুণের বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর করোনা টিকা প্রথম ডোজ নেওয়ার একমাস পর ৯২ শতাংশ এবং ২ মাস পর ৯৫ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর বলছে, বাংলাদেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা (কোভিশিল্ড) দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে টিকা গ্রহণকারীদের রক্তে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডির উপস্থিতি সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করছে। এই গবেষনায় দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৬ হাজার ৩শ’ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে টিকা গ্রহণ পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
উক্ত গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল পর্যালোনায় দেখা যায়, ১২০ জন প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীর টিকা গ্রহণের এক মাস পর ৯২ শতাংশ এবং দুই মাস পর ৯৭ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সকল বয়সের টিকা গ্রহীতার শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অন্যান্য অসুস্থতা (কো-মরবিডিটি) থাকার বা না থাকার সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির তেমন কোনও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়নি। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে যাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে তাদের শরীরে চার গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
এতে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে কোভিশিল্ড টিকা গ্রহণের পর শরীরে করোনাভাইরাস অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। চলমান গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে। এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হয়। কিন্তু এরমধ্যেই যারা প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের শরীরে অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে।
Tag: English News lid news national
No comments: