উলটকম্বল হাঁস-মুরগির বিভিন্ন চিকিৎসায় উলটকম্বলের রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
একটি ভেষজ ঔষধি গাছ। এটা বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকায় এই গাছ পাওয়া যায়। উলট কম্বল গাছ ৮-১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। বেশি মোটা হয় না। গাছের ছালে রেশমের মতো আঁশ থাকে, ফুলের রঙ মেরুন। ফল পঞ্চকোণবিশিষ্ট লোমাবৃত। কাচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে ধূসর বর্ণের হয়। এর পাতা, গাছ ও মূলের ছাল ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উপকারিতা :
যেসব নারীর অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম পরিমাণ হয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে উলট কম্বল একটি পরিক্ষীত ওষধ।
এর মূলের ছাল থেকে এক ধরনের আঠাজাতীয় রস বের হয়, যা গর্ভাশয়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে বন্ধ্যত্ব রোগীদের ক্ষেত্রে উলট কম্বলের মূলের ছাল এবং অন্যান্য উপাদান বিভিন্ন ওষুধ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উলট কম্বলের রস গনোরিয়া রোগে বিশেষ উপকারী।
দীর্ঘদিন থেকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, জরায়ু সংক্রান্ত রোগ বন্ধ্যত্ব, ব্যাথাসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কর্য্কর এটি।
উলটকম্বল পাতার ডাঁটা সিদ্ধ করে খেল প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় উপকার পাওয়া যায়।
গবাদিপশুর পাতলা পায়খানা, বিলম্ব প্রজনন এবং হাঁস-মুরগির বিভিন্ন চিকিৎসায় উলটকম্বলের রস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওষুধ তৈরীর ফর্মুলা :
উলট কম্বল, শলফা বীজ, আওবেল, সারাকা ইন্ডিকা, চায়নারুট, শুকনা পুদিনা, শিয়ালকাটা, কপচিনি, জটামাংসী, তজ বড় এলাচসহ, অন্যান্য উপাদান নিয়ে ওষুধ তৈরী করে নিতে হবে।
Tag: Advertisement Featured
No comments: