চট্টগ্রামে প্রবাসী তোতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
ত্রী
চট্টগ্রামে প্রবাসী তোতা হত্যার দায়ে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (০৮ মার্চ) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আকতার এ রায় ঘোষণা করেন।
২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফটিকছড়ির রাঙামাটিয়া এলাকায় প্রবাসী নেছার আহমদ প্রকাশ ওরফে বাইল্যা তোতাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোরশেদা আক্তার বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেন।
পরে শাহীন নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে শাহীনসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। দণ্ডিতদের মধ্যে ৭ জন পলাতক রয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহীন, বাবুল, ল্যাডা নাছির, নুরুল ইসলাম, মো. জোবায়ের, দিদার, আবু বক্কর বাঁশি, ইসমাইল ও মো. জঙ্গু। এদের মধ্যে শাহীন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক। তবে এরমধ্যে একজন মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নেছার আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় জেল খেটে ২০০৩ সালে তিনি দেশে ফেরত আসার পর আর যেতে পারেননি। একই গ্রামের জনৈক এজাহার মিয়ার কাছে তিনি পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। বারবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত পাননি। তার সঙ্গে এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছির ও তার সহযোগীদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ল্যাডা নাছির কৌশলে সেই টাকা উদ্ধারের কথা বলে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে। নেছার তার কথায় বিশ্বাস করে। ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে এজাহারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে নেছারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেছারের স্ত্রী মোর্শেদা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামে একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কে তার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন। বিচার চলাকালে 'কপাল কাটা নাছির' (ল্যাডা নাছির) নামে একজন মারা যান। পরবর্তীতে তাকে বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
No comments: