মিয়ানমারে সেনা-পুলিশি বর্বরতায় আরও ২০ জনের প্রাণহানি
ন
সেনা-পুলিশি বর্বরতা থামছেই না মিয়ানমারে। সব অসভ্যতাকে যেন হার মানিয়েছে বার্মিজ সেনা বাহিনী। পুলিশের গুলিতে সোমবার প্রাণ গেছে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে থাকা আরও ২০ জনের। ইয়াঙ্গুনে নির্বিচার গুলিতে হত্যার পর মরদেহ গুম করছে নিরাপত্তা বাহিনী। গেল দুদিনে প্রাণ হারানো প্রায় শ'খানেক মানুষের কাতারে আছে ৩ শিশুও।
ইয়াঙ্গুনের ৬ জেলায় জারি আছে সামরিক আইন। এর মধ্যে গণতন্ত্র হরণের প্রতিবাদে রাস্তায় মানুষ। বন্ধ ইন্টারনেট। নেট সংযোগ না থাকায় হয়নি সু চির মামলার শুনানিও।
এদিকে, জর্জ সরোস নামে একটি ফাউণ্ডেশনের বিরুদ্ধে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে অর্থায়নের অভিযোগ এনেছে সামরিক সরকার।
সেনা অভ্যুত্থানে বেইজিংয়ের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে মিয়ানমারে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, হ্লাইংথায়ায় চীনা মালিকানাধীন অন্তত ৩২টি কারখানায় এ পর্যন্ত অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বরছেন, ''যারা চীনা কারখানায় হামলা চালিয়েছে তারা মিয়ানমারের স্বার্থবিরোধী। এদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। সেনাবাহিনীকে সংঘাত বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।''
এসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স-এএপিপি বলছে, এখনো কারাগারে ১ হাজার ৮৫০ মানুষ। প্রাণহানি দুইশো ছুঁইছুঁই। অবিলম্বে সংকট সমাধানের আহবান জাতিসংঘের। আর জাপান সফরে মিয়ানমার বাহিনী ও চীনের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, "জনগণের ভোটের রায় প্রত্যাখান করে ক্ষমতা দখল করে যেভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে বার্মিজ সামরিক বাহিনী। তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চীনও স্বায়ত্তশাসিত হংকং, তাইওয়ানে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। এ অপতৎপরতা রুখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।"
সেনা নির্মমতায় প্রাণ হারানোর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মশাল মিছিল হয়েছে লাঙ্গলোন শহরে। জান্তা বিরোধী শ্লোগানে মুখর কায়ায়ে নুপিন গ্রামের বাসিন্দারা।
Tag: English News world
No comments: