ঢাকায় পৌঁছেছে ব্যারিস্টার মওদুদের নিথর দেহ
সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় তার মরদেহটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ সময় মরদেহ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা। মওদুদ আহমদের একান্ত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মওদুদের মরদেহ গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হবে। শুক্রবার ঢাকায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় প্রথম এবং সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে দ্বিতীয় জানাজা হবে। সুজন আরো বলেন, ঢাকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মওদুদ আহমদের কফিন হেলিকপ্টার যোগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ আসর কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পর বসুরহাটেও জানাজা হবে। পরে নিজের বাড়ির আঙিনায় আরো একটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তার লাশ দাফন করা হবে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। পেশায় স্বনামধন্য আইনজীবী। কিন্তু সে পরিচয় ছাপিয়ে দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও তিন দফা দল পাল্টে বিএনপি, জাতীয় পার্টি পরে আবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এই নেতা। ক্যারিয়ারের সূচনা লগ্ন থেকেই নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণে যেমন নন্দিত হয়েছেন, আবার বার বার দল বদলে হয়েছেন সমালোচিতও। তিনি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে লন্ডন থেকে বার অ্যাট 'ল' ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর দেশে এসে উচ্চ আদালতে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ব্যারিস্টার মওদুদ। রাজনীতির শুরুটা হয় আওয়ামী লীগের হাত ধরে। মুক্তিযুদ্ধের আগে তিনি কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। ১৯৭৭-এর পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারে উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় মন্ত্রিত্ব পান তিনি। এরপর তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় উপ-প্রধানমন্ত্রীর। বিএনপি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন মওদুদ আহমদ। জিয়া নিহত হওয়ার পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে ১৯৮১ সালে তথ্যমন্ত্রী হন তিনি। এরপর কয়েক দফায় উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও পরে উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পান এই রাজনীতিবিদ। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতন হলেও থেকে যান জাতীয় পার্টিতেই। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিতে যোগ দেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন তিনি। শিল্প, পরিকল্পনা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক, বিদ্যুৎ, পানি, রেল, সড়ক ও যোগাযোগ এবং টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অন্যদিকে, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছেন তিনি। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: