এনআইডি জালিয়াতি : সাবরিনার বিরুদ্ধে প্রতিবদন দাখিল পেছাল
দ্বৈত ভোটার হয়ে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডাক্তার সাবরিনা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় নতুন এ দিন ধার্য করা হয়।
গত বছরের ৩০ আগস্ট প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় এ মামলাটি দায়েন করেন। করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় কারাগারে থাকা সাবরিনার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মামলাটি করা হয়।
১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডএবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে। আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে একই শাস্তি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ডা. সাবরিনার জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এর একটিতে জন্মতারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন সাবরিনা।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
Tag: English News politics
No comments: