ভালো আছেন এটিএম শামসুজ্জামান
কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছেন তিনি। তার অক্সিজেনের মাত্র বেড়ে এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া তার বেশকিছু টেস্টের রিপোর্টও ভালো এসেছে।
এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোয়েল বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। ওনার অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে। প্রথমে অক্সিজেনের মাত্রা ৮৩ ছিল, এখন তা ৯৮। তাছাড়া ৫ লিটারের জায়গায় এখন ১ লিটার দেওয়া হচ্ছে। সকালে বুকে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে, সেই রিপোর্টও ভালো এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসক আরও কয়েকটি রিপোর্ট দিয়েছেন, সেগুলো হাতে আসলে আশা করছি আগামী শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাবাকে নিয়ে বাসায় ফিরতে পারবো।’
এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চেকআপ করাতে নিয়ে যান কোয়েল। তবে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এরপর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দেশের ছোট ও বড়পর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ বর্ষীয়ান অভিনেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
No comments: