Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » প্রতিটি অর্জনেই বাঙালিকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী




প্ ভাষার অধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি অর্জনেই বাঙালিকে আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাথা উঁচু করে চলার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে দেশ। বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই পাকিস্তানি শাসকরা বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দিয়ে সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল। এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়। এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন এবং সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজনকে একুশে পদক দেয়া হয়। পদক বিজয়ীরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা এই পদক গ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক পেয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর)। মোতাহার হোসেনের পুত্রবধূ জান্নাত আরা সিদ্দিকী পদক গ্রহণ করেন। এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনে শামছুল হক (মরণোত্তর) এবং অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন। শামছুর হকের ছেলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ এবং আফসার উদ্দীনের মেয়ে শারমীনা পারভীন পদক গ্রহণ করেন। শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন পাপিয়া সরোয়ার (সংগীত), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), সালমা বেগম সুজাতা (অভিনয়), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি) ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)। মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন। সৈয়দা ইসাবেলার ছেলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পদক গ্রহণ করেন। এ ছাড়া সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামানের হাতে একুশে পদক তুলে দেয়া হয়। ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী, গোলাম মুরশিদ পদক নিয়েছেন। পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে। অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত সুধীজনে নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply