আগে স্বাস্থ্যকর্মী, পরে ফুটবলারদের ভ্যাকসিন দিতে বললেন ফিফা বস
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মানবসভ্যতাকে বাঁচাতে চলে এসেছে ভ্যাকসিন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে তা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন ভ্যাকসিনের নানা ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা শোনা গেলেও, এখনো শোনা যায়নি বড় কোন সমস্যার কথা।
তবে, ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে দেশে দেশে রাজনীতি। এর বন্টন ব্যবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। অগ্রাধিকার তালিকায়, স্বাস্থ্য কর্মী এবং সাধারণ মানুষদের থাকার কথা থাকলেও, ফুটবলার-ক্রিকেটার সহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলিটদের নিয়ে মাতামাতি চলছে সব জায়গায়। বিষয়টিকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশগুলোর অগ্রাধিকার তালিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছে তারা।
এবার হু'র সেই আলোচনাতে যোগ দিয়ে একই মত প্রকাশ করলেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা সাধারণ মানুষ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বাদ দিয়ে, ফুটবলারদের করোনা ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার তলিকায় রাখা উচিত হবে না বলে মনে করেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিনের সঠিক বন্টনের দিকেও জোর দেন ফিফা বস। বলেন, কোন অবস্থাতেই সাধারণ মানুষের আগে খেলোয়ারদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা উচিত হবে না।
ইনফান্তিনোর মতে, এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে যারা আছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে ফুটবলারদের নিয়ে আলোচনার কোন অর্থ হয় না। স্বাস্থ্য কর্মী এবং সাধারণ মানুষদেরকেই সবার শুরুতে দেওয়া উচিত। আমি জানি, সামনে অনেক অনেক টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে, তার আগে অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। তবে, সেটা কখনই মূল অগ্রাধিকার হতে পারে না। মানুষের জীবনের চেয়ে কোন ক্রীড়া ইভেন্ট বড় হতে পারে না বলেও মত প্রকাশ করেন ফিফার প্রেসিডেন্ট।
কাতার বিশ্বকাপের এখনো বাকি এক বছরেরও বেশি সময়। ২০২২ এর শেষ দিকে হবে আসরটি। এর মধ্যেই ক্রীড়া বিশ্ব কোভিড ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠবে বলেও মনে করেন ফিফা বস। তার বিশ্বাস, কাতারের প্রতিটি স্টেডিয়াম ভর্তি থাকবে দর্শক-সমর্থকদের উল্লাসে। এমনই একটা দুর্দান্ত বিশ্বকাপের অপেক্ষায় আছেন ইনফান্তিনো।
এদিকে, ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা থাকলেও, এখনো কোন দিন-তারিখ ঠিক করতে পারেনি ফিফা।
No comments: