স্থায়ীভাবে রাজপরিবার ছাড়লেন হ্যারি-মেগান
ব্রিটিশ রাজপরিবার স্থায়ীভাবে ছেড়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাকিংহাম প্যালেস থেকে এ খবর জানানো হয়েছে। ঠিক একবছর আগে রাজকার্য থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিলেও এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই তা সম্পন্ন করেছেন হ্যারি ও মেগান।
মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েই ব্রিটিশ রাজপরিবারের একের পর এক রীতি ভাঙতে শুরু করেন প্রিন্স হ্যারি। বিয়ের পর গত বছরের জানুয়ারিতে রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন হ্যারি-মেগান দম্পতি। ওই সময় তারা স্বাধীনভাবে উপার্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে বেঁচে থাকতে চান বলেও জানিয়েছিলেন।
ওই ঘোষণার পর যুক্তরাজ্য ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ব্রিটিশ রাজযুগল। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য তারা একবছর সময়ও নেন। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, রাজপরিবারের দায়িত্বে আর কখনোই ফিরবেন না তারা।
এই ঘোষণার মাধ্যমে কেবল রাজপরিবারের দায়িত্ব ও সুযোগ-সুবিধাই নয়, ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন খেতাব ও সম্মাননাও ত্যাগ করতে হবে প্রিন্স হ্যারিকে। এসব বিষয়ে আলোচনার পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজেই লিখিতভাবে হ্যারি ও মেগানের রাজদায়িত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিয়ের পর থেকেই ব্যক্তিগত জীবন ও রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকে গণমাধ্যমে। এমন সব সংকট থেকে বাঁচতেই রাজপরিবার থেকে ভিন্ন পথে হাঁটার সিদ্ধান্তে অটল থাকছেন প্রিন্স হ্যারিও মেগান মার্কেল।
প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান আনুষ্ঠানিকভাবে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বাস করছেন তারা। সে দেশে কয়েকটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নানা রকম কাজকর্মও শুরু করেছেন এ দম্পতি।
সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা আগেই দেয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে রানীর সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। রানী তাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য এক বছর সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পর দম্পতি তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার সিদ্ধান্ত জানালে রানী এ চিঠিতে তার নির্দেশনা জানান।
বাকিংহ্যাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স রানীকে নিশ্চিত করেছেন যে, তারা রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে আর ফিরে আসবেন না। রানী এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে চিঠিতে বলেছেন, তাদের পক্ষে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন যখন সম্ভব হবে না, তখন তাদের পদবি ও সম্মান প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
প্রিন্স হ্যারির বেশ কিছু সম্মানসূচক সামরিক খেতাব রয়েছে। পাশাপাশি তিনি কমনওয়েলথে নিয়োগ কর্মকর্তার দায়িত্বও পালন করছেন। এছাড়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকেন রাজপরিবারের পক্ষ থেকে। তার স্ত্রী মেগানও যুবরাজের স্ত্রী হওয়ার পর কিছু সম্মানসূচক দায়িত্ব ও পদবি পেয়েছেন।
Tag: English News world
No comments: