ব্রিটেনে প্রাণহানি ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে
ব্রিটেনে দীর্ঘ লকডাউন ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার পরও থামানো যাচ্ছে না সংক্রমণ ও প্রাণহানি। নতুন করে ৭৫৮ ব্রিটিশের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারের অধিক মানুষ। প্রকোপ থামাতে এখনো জারি আছে জরুরি অবস্থা, একই সাথে চলছে টিকা প্রয়োগও।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ১৫ হাজার ৮৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ৭৫৮ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৭ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৭ জন রোগী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ও বেঁচে ফিরেছেন ৩৭ হাজার ৭৪৬ জন।
এদিকে, আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়ায় ভাইরাসটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। এমতাবস্থায় লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। স্থানীয় সময় গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ঘোষণা দেন। এ সময়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে দেশটিতে ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন। টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তার সুফল তেমনটা মিলেনি বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ফলে পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে পৌঁছাচ্ছে, হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ পথ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর মধ্যে কেউ যদি দেশটিতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।
ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরণ শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগালের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। বলা হয়েছে যে, এরপরও যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
Tag: English News world
No comments: