উচ্চ শুল্কের কারণে মদের আমদানি কমেছে
বিদেশি মদের সংকটে ক্রেতাকে ভেজাল ও বিষাক্ত মদ ধরিয়ে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আর বিষাক্ত মদ পান করে গত ১৫ দিনে মারা গেছে ১৬ জন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনার কারণে ৮ মাস আমদানি বন্ধ থাকায় এই সংকট। তবে বার ব্যবসায়ীদের দাবি, উচ্চ শুল্কের কারণে আমদানি কমেছে।
সারা দেশে অনুমোদিত বার ১৮৫টি। এর ৭৮টিই রাজধানীতে। এসব বারে বিক্রি হয় বিদেশি মদ। করোনার কারণে প্রায় আট মাস বন্ধ ছিল মদ আমদানি। গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বারও ছিল বন্ধ। সম্প্রতি রাজধানীর বারগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে বিদেশি মদের। এ সুযোগে অসাধু ব্যক্তিরা বিদেশি বলে ক্রেতাকে ধরিয়ে দিচ্ছে ভেজাল ও বিষাক্ত মদ।
গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানেও বাড্ডায় সন্ধান মিলেছে ভেজাল বিদেশি মদের কারখানার।
২ মাস ধরে বাজারে বিদেশি মদের সংকট বলে জানিয়েছে বার সংশ্লিষ্টরা। সংকটের কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, আমদানির কাগজপত্র মাসের পর মাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আটকে থাকায় সময়মতো মদ আসছে না। এছাড়া শুল্ক বাড়ানোর কারণে কমেছে আমদানি।
তবে এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, তাদের কাজ শুধু বারগুলোকে লাইসেন্স দেয়া। রাজধানীসহ সারা দেশে ভেজাল মদ কারবারিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
অভিযোগ আছে শুল্ক ফাঁকি দিতে অনেক বার ৬টি ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউজ থেকেই মূলত বিদেশি মদ সংগ্রহ করতো। কিন্তু সম্প্রতি ওয়্যারহাউজগুলো আমদানি বন্ধ রাখায় সংকট বেড়েছে।
Tag: English News politics
No comments: