ভ্যাকসিন পেতে ধৈর্য্য ধরতে বলেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে বিদেশী সরকারকে ধৈর্য্য ধরতে বলেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।
সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, “আমি আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে ধৈর্য্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি। ভারতে ভ্যাকসিনের চাহিদা অনেক বেশী। আর এ চাহিদা পূরণে আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতেই এ অগ্রাধিকারের কথা বিবেচনা করতে হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
ভারতের পুনে শহরে নির্মিত এ টিকা প্রতিষ্ঠানটি অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি/এস্ট্রেজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে। এখানে উৎপাদিত টিকার অর্ধেক ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে।
বিশ্বের অনেক নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য এ প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করছে। কিন্তু বহির্বিশ্বের চাহিদা বাড়ছে। এমনকি পশ্চিমা দেশ কানাডাও সেরামের কাছ থেকে করোনা ভ্যাকসিন নিতে চাচ্ছে। আগামী মাসে প্রতিষ্ঠানটি কানাডাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যও সেরা ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া যাচাই করে দেখছে। কারণ সুবিধাজনক হলে নৌ পথে ভারত থেকে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশে টিকা নেওয়ার বিষয়টি তারা বিবেচনা করছে।
তুলনামূলক কম সংখ্যক ভারতীয়কে টিকা আওতার আনার অভিযোগে এনে মোদি সরকারকে ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নাগরিকদের বড় অংশকেই টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
মধ্য জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ভারতের এক কোটি ১০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে।
ভারতে এ পর্যন্ত এক কোটি ৯০ হাজারের বেশী মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। সারা বিশ্বের সংক্রমণের দিক দিয়ে ভারত দ্বিতীয়। সবচেয়ে বেশী করোনা সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ভারতে এখন প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত হচ্ছে।
Tag: English News world
No comments: