উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিতে কী পাবে বাংলাদেশ?
বিশ্বের কোনও দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে কতটা অগ্রগতি করেছে সেটি মূল্যায়নের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিষদের উন্নয়ন নীতি বিষয়ক কমিটি বা সিডিপি আজ নিউইয়র্কে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এ বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে আসার স্বীকৃতি মিলবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন। খবর বিবিসির।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর বলেন, বিষয়টি কোনও দেশের জন্য গৌরবের। জাতি হিসেবে সবাই চায় নিজেদের মর্যাদা ও গৌরব প্রতিষ্ঠিত করতে। তবে, এর ফলে বস্তুগত কোনো উন্নয়ন বা সুবিধা আলাদা করে বাংলাদেশ পাবে বলে মনে হয় না। কিন্তু এই স্বীকৃতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানিত করবে।
ksrm
সাধারণত স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য তিনটি সূচক বিবেচনা করা হয়। তিন বছরের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক, যাতে পুষ্টি, স্বাস্থ্য, স্কুলে ভর্তি ও শিক্ষার হারের সমন্বয়ে তৈরি হয় এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক, যেটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক আঘাত, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং বিশ্ববাজার থেকে একটি দেশের দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
ড. মনসুর আরও বলেন, এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অনেক সময় লেগেছে। স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাথমিক অবস্থা অত্যন্ত প্রতিকূল ছিল। তাছাড়া গত দশ বা পনের বছরে উন্নয়নের ধারা যেমন অব্যাহত ছিল, সেটি যদি আরও আগে শুরু হতো, তাহলে বাংলাদেশ এই স্বীকৃতি আগেই পেতে পারত।
জাতিসংঘের এ কমিটি প্রতি তিন বছর পর পর বৈঠকে বসে। একটি বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবার পর যেকোনও দেশের মূল্যায়ন হয়। এবছর এ বিষয়ে প্রথম রিভিউ হবে, বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে তা অর্জনকে কতটা সুদৃঢ় করেছে। এরপর ২০২৪ সালে আরেকটি মূল্যায়ন হবে।
এই দুটি পর্যালোচনায় উৎরে গেলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তখন প্রস্তাব করা হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্থায়ী স্বীকৃতি দেবার জন্য।
Tag: English News lid news national
No comments: