কার সংস্পর্শে করোনায় আক্রান্ত ম্যাক্রোঁ?
কার সংস্পর্শে করোনায় আক্রান্ত ম্যাক্রোঁ?
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট দফতর এ তথ্য জানিয়েছে। ৪২ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁ, উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরই নমুনা পরীক্ষা করান তিনি। সাত দিনের আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট দফতর এলিসি প্যালেস একি বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে রয়েছেন ম্যাক্রোঁ। আইসোলেশনে থেকেই তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
চলতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমণরোধে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখের মতো। মারা গেছে ৫৯ হাজার ৪০০ জনের বেশি।
বৃহস্পতিবার এলিসি প্যালেসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরই তিনি নমুনা পরীক্ষা করান।
কার সংস্পর্শে ম্যাক্রোঁ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। সম্প্রতি তিনি যাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তাদের কারও থেকেই ম্যাক্রোঁ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট দফতর জানায়, তারা সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শনাক্তে কাজ করছে।
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ম্যাক্রোঁর ২২ ডিসেম্বর লেবানন সফর বাতিল করা হয়েছে।
বুধবারই পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্তার সঙ্গে দাফতরিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন ম্যাক্রোঁ। অতি সম্প্রতি মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।
৫৫ বছর বয়সী ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসেক্স সেলফ আইসোলেশনে আছেন। সম্ভাব্য কনটাক্ট কেস হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সিনেটে সরকারের করোনা ভ্যাকসিন নীতি উত্থাপন করার কথা ছিল তার। এখন প্রধানমন্ত্রীর পরবির্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান এ দায়িত্ব পালন করবেন।
ম্যাক্রোঁর ৬৭ বছর বয়সী স্ত্রী ব্রিজিত নমুনা পরীক্ষা করেছেন কি না, এ বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। এ অবস্থায় এলিসি প্যালেসে এক প্রকার উদ্বেগ কাজ করছে। কারণ যার মাধ্যমে ম্যাক্রোঁ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাকে শনাক্ত করা না গেলে, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট দফতরের কেউ হয়ে থাকেন তাহলে অন্যরাও সংক্রমিত হতে থাকবেন।
তাই সম্প্রতি যারা, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাদের সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে।
ম্যাক্রোঁ ছাড়াও আরও কয়েকজন বিশ্বনেতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অক্টোবরে করোনা আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য তিন দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত হন। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারেও রাখা হয়েছিল। মার্চে যখন দেশটিতে করোনার প্রথম ওয়েব চলছিল, তখন তিনি আক্রান্ত হন।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে জারি করা বিধিনিষেধ চলতি সপ্তাহের শুরুতে শিথিল করে ফ্রান্স। যদিও সংক্রমণের হার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সান্ধ্যকালীন কারফিউ। নতুন পদক্ষেপে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, থিয়েটার এবং সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ফ্রান্সে ১৭ হাজার ৭০০’র বেশি মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
No comments: