Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিড়াল নিয়ে কথা রাখলেন না নায়লা নাঈম, বাসা ছাড়ছেন প্রতিবেশীরা




বিড়াল নিয়ে কথা রাখলেন না নায়লা নাঈম, বাসা ছাড়ছেন প্রতিবেশীরা বিড়াল নিয়ে এ যেন লঙ্কা কাণ্ড! নাটক নয়, তবে বেশ নাটকীয় এই ঘটনার প্রধান চরিত্র আলোচিত-সমালোচিত মডেল-অভিনেত্রী জান্নাতুল নাঈম ওরফে নায়লা নাঈম। তুলকালাম বাঁধানো এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে আমাদের ফিরতে হবে ২০১৭ সালে। রাজধানীর আফতাফ নগরে জ্যাক মূনীসা ভিলা নামে সাত তলা একটি ভবনে দুটি ফ্ল্যাট কিনে বসবাস শুরু করেন নায়লা নাঈম। বিপত্তির শুরু সেখান থেকেই। অতিষ্ঠ ভবন বাসিন্দারা হদিস পেলেন সপ্তম তলার ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, নায়লা নাঈমের সপ্তম তলার দুইটি ফ্ল্যাটে অসংখ্য বিড়াল রয়েছে। এরপরও দাঁতে দাঁত চেপে বাসিন্দারা কাটিয়েছেন পুরো এক বছর। পরে সহ্য করতে না পেরে ২০১৮ সালে প্রথমবার নায়লা নাঈমের সাথে অন্য পাঁচ মালিকের বৈঠকও হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয় এক বছরের মধ্যে বিড়াল অন্যত্র সরিয়ে নেবেন তিনি। এক বছর পূর্তিতে নায়লা নাঈম আবার সময় দাবি করেন। এরপর থেকে কেবলই নয়-ছয়। তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি বিড়াল অন্যত্র সরিয়ে নেননি নায়লা নাঈম। নায়লা নাঈম ছাড়া ভবনের অন্য পাঁচ ফ্ল্যাট মালিকদের একই অভিযোগ। তারা বলছেন, মানবিক কারণে নয়, নায়লা নাঈম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই খামার আকারে বিপুল সংখ্যক বিড়াল পালন করে আসছেন। বিড়ালের বিষ্ঠার দুর্গন্ধ, খাবার হিসাবে পচা মাছ, মুরগি নিয়ে উঠানামার সময় স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে ভবনের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে ভবনের কেয়ারটেকার মেহের জানান, দুর্গন্ধে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে, আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। খাবার সময় বমি করে দেই। জ্যাক মূনীসা ভিলার সহ-সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ফ্ল্যাট ছেড়ে গ্রামে চলে যাবো। করোনাকালে আমাদের আর কোনো উপায় নাই। এই বিষয় নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। থানায় জিডিসহ নানা তৎপরতার পরেও নিজের জায়গা থেকে এক চুলও পিছপা হননি নায়লা নাঈম। কূল-কিনারা করতে না পেরে ফ্ল্যাট মালিকরা অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর বিষয়টি সুরাহা জন্য চিঠি দেন। পরে পুলিশ প্রধানের অফিসের নির্দেশনায় বিষয়টি দেখভালের জন্য বাড্ডা জোনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলেও বিড়ালের সংখ্যা নিয়ে তারাও বিভ্রান্তিতে আছেন। নায়লা নাঈম এ ব্যাপারে পুলিশকেও কোনো সহায়তা করেননি। এমনকি কখনোই তার ফ্ল্যাটে প্রবেশের অনুমতি দেননি। কয়টি বিড়াল তার ফ্ল্যাটে আছে, সেটি কখনো আঁচ করতে দেননি তিনি। তবে, তার বাসার কর্মীদের মারফত জানা যায়, সাড়ে তিনশ থেকে চারশো বিড়াল রয়েছে তার। সর্বশেষ নায়লা নাঈমের হাতে লেখা একটি অঙ্গীকারনামা সময় সংবাদের হাতে আসে। এতে বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশ্যে নায়লা নাঈম লিখেছেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি বিড়াল স্থানান্তরের ব্যবস্থা করবেন। নির্ধারিত সময় শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে, বিষয়টির অগ্রগতির বিষয়ে দেখতে ফ্ল্যাটে যাবার কথা বললে নায়লা নাঈম ১০ অক্টোবর সময় দেন। নিজের সব অঙ্গীকার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১০ অক্টোবরই তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে উল্টো তিনি তাকে ফ্ল্যাট থেকে উচ্ছেদের পায়তারার অভিযোগ আনেন এবং একই সাথে পুলিশ তাকে হয়রানি করছে এমন কথাও বলেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে সময় সংবাদ ফ্ল্যাট মালিকদের কাছে গেলে তারা এ অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন। জ্যাক মূণীসা ভিলার সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, নায়লা নাঈমের সংবাদ সম্মেলনে তোলা দাবি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। গেল, ১০ অক্টোবরের সংবাদ সম্মেলনে নায়লা নাঈম আরো দাবি করেন, মানবিক কারণে তিনি অসুস্থ বিড়াল পোষেন। এই ব্যাপারে সরেজমিনে দেখতে সময় সংবাদ তার ফ্ল্যাটে গেলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও ফ্ল্যাটের সামনে অসংখ্য আগরবাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। এরপরও তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। নায়লা নাঈম নিজে থেকেই পরবর্তীতে সময় টিমের সাথে যোগাযোগ করেন। ফোনে নায়লা নাঈম বলেন, আমি তো সংবাদ সম্মেলন করে বলেই দিয়েছি আমি বিড়াল সরিয়ে নিবো। তাহলে এত কথা কেন? এ ব্যাপারে পুলিশ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন বাড্ডা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, আইজিপি অফিস থেকে আমাদের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে আমরা চেষ্টা করেছি নায়লা নাঈমের বাসায় যেতে। তবে, তিনি এ ব্যাপারে কোন সহায়তা করেননি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply