ট্রুডোর বাসায় ঢোকার পথে সশস্ত্র সেনা সদস্য গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েট্টের সরকারি বাসভবনে প্রবেশের পথে এক অস্ত্রধারীকে আটক করেছে কানাডার পুলিশ। আটক হওয়ার সময় তার কাছে একটি রাইফেল ও দুইটি শটগান ছিল।
খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত পৌছে যায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ টিম। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি সেনাবাহিনীর সদস্য বলে নিশ্চিত করেছে সেনা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বেপরোয়াভাবে একটি ট্রাক চালিয়ে ওই দুই বাসভবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো ওই অভিযুক্ত। তবে ঘটনার সময় ট্রুডো ও পায়েট্টে বাড়িতে ছিলেন না।
রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য।
আরসিএমপি-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার একটি কালো পিকআপ ট্রাক নিয়ে অটোয়ার রিডিয়াও হল এলাকার মূল প্রবেশ পথ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই অস্ত্রধারী। লোহার গেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এক পর্যায়ে গাড়িটি নষ্ট হয়ে গেলেও ইতোমধ্যে কয়েকশ' মিটার ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় এটি। এরপর ওই সে পায়ে হেঁটে একটি গ্রিনহাউসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাকে আটকে দেয়।
আরও পড়ুন: ইতালি, ফ্রান্সের পর এবার ব্রাজিলেও পানিতে করোনাভাইরাস!
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'আরসিএমপি'র এক সদস্য ওই সন্দেহভাজনের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, আর ততক্ষণে আরসিএমপি'র জরুরি ব্যবস্থা ইউনিটকে ডাকা হয়। সকাল সাতটার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
কানাডার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই সন্দেহভাজন সশস্ত্র বাহিনীরই সদস্য। এ ব্যাপারে তারা আরসিএমপিকে সহযোগিতা করছে।
গ্লোবাল নিউহের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির হাতে একটি রাইফেল ও দুইটি শটগান ছিল। ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তার ক্ষতি করতে চাননি।
টরন্টো স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দুইটি রোবট ব্যবহার করে ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়েছে। ভেতর থেকে একটি কমলা রঙের কুলার, একটি লেদার জ্যাকেট ও সেনাবাহিনীর রেশন ছিল।
২০১৯ সালে কানাডার নিরাপত্তা বাহিনী জাস্টিন ট্রুডোর ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছিল। এ কারণে ট্রুডো সে সময় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন।
তবে এ পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো সহিংসতার ঘটেনি। কানাডার কুইবেক প্রদেশের স্বাধীনতাপন্থী একটি গোষ্ঠী ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক প্রশাসনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে অপহরণের পর হত্যা করেছিল।
এর আগে ১৯৯৫ সালে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাসার মধ্য ছুরিসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল বলে খবরে উল্লেখ করেছে গার্ডিয়ান।
No comments: