আকবর-ইমন-শরিফুলরা দেখিয়েছেন বিশ্বজয়ের পথ। তাদের দক্ষতা ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে শক্তিধর সব প্রতিপক্ষ। যুবাদের মঞ্চে বাংলাদেশের ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমা ধরে রাখার দায়িত্ব বর্তাবে আকবরদের পরবর্তী ব্যাচের উপর, যারা ২০২২ সালে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে।
বিশ্বকাপ শুরু হতে মাত্র ১৬ মাস বাকি থাকলেও এখনো অনূর্ধ্ব-১৯ দল গঠন করতে পারেনি বিসিবি। করোনাভাইরাসের কারণে পুরো প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে ছিল চার মাস।
অনেকটা সময় অলস চলে যাওয়ায় বুধবার জুনিয়র লেভেলের নির্বাচকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আসছে ঈদের পর বিকেএসপিতে শুরু করার ভাবনা ক্যাম্পের।
বিশ্বকাপ দল গঠন ছাড়াও আকবরদের নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় সেটিও হয়েছে আলোচনা। খালেদ মাহমুদ বললেন, ‘মূলত পরবর্তী বছরের পরিকল্পনা নিয়ে বসেছিলাম। বিশ্বকাপ মাত্র ১৬ মাস দূরে, ওটা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা যে আমরা কীভাবে আগাব। কারণ বেশ কয়েকমাস পিছিয়ে গেছি। মাঠে যেতে পারছি না, অনুশীলন শুরু করতে পারছি না। আজ একটা পরিকল্পনা হয়েছে, কী করতে পারি সামনের দিনগুলোতে। পরিকল্পনা আছে ঈদের পরে যদি পরিস্থিতি ভালো হয়, সরকারের অনুমতি পাই, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্প শুরু করতে চাই আমরা।’
‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে যারা ফিরে আসলো, তাদের ব্যাপারেও কিছু আলাপ ছিল। নতুন কিছু সংযোজন করতে যাচ্ছি আমরা। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে স্কুল ক্রিকেটের সব জোনাল চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে একটা লংগার ভার্সন ক্রিকেট করতে পারি কিনা সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘ঠিক করেছি আগস্টের মাঝামাঝি বা শেষে যেন কোয়ারেন্টাইন করতে পারি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ছেলেদের নিয়ে বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার চিন্তা করছি। বিকেএসপিতে ইন্টারন্যাশনাল যে হোস্টেল আছে, সেটা যদি পুরোটা পেয়ে যাই ওখানেই কোয়ারেন্টাইন করে চার সপ্তাহের একটি ক্যাম্প করতে পারি। ওখানেই ট্রেনিং হবে।’
‘নির্বাচকসহ সবাই ওখানে থাকবে। যেহেতু ওয়াইসিএল (ইয়ুথ ক্রিকেট লিগ) এর ওয়ানডে টুর্নামেন্টটা হয়নি, সে কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ দল নির্বাচনও হয়নি। ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বের করে আনব, এটাই পরিকল্পনা।’ যোগ করেন খালেদ মাহমুদ।
No comments: