পশু কিনে এলজিআরডি মন্ত্রীর ডিজিটাল হাট উদ্বোধন
এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম আজ শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোরবানির পশু
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির গবাদিপশু বেচাকেনার জন্য বৃহৎ পরিসরে লোক সমাগম কমিয়ে অনলাইনে হাট আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, কোরবানির পশুর বেচাকেনার জন্য যেখানেই হাট বসানো হোক না কেন সেখানে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ সরকারের অন্যান্য নির্দেশনা মেনেই বসাতে হবে।
আজ শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোরবানির পশু অনলাইনে বিক্রির প্লাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় একটি প্রাথমিক বৈঠক করেছে। যেসব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি বা যে এলাকাগুলোকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব এলাকায় পশুর হাট বসানো বর্জন করতে হবে।
এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ডিজিটাল হাট থেকে প্রথম কোরবানির পশু ক্রয় করে অনলাইনে কেনাবেচারও উদ্বোধন করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, শহর অঞ্চল ছাড়াও গ্রামগঞ্জে একটি বা দুইটি জায়গায় কোরবানির পশু বেচাকেনা করার জন্য নির্ধারণ না করে একটি ওয়ার্ডে বা ইউনিয়নে বিস্তৃতস্থানে আয়োজন করলে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে ভূমিকা রাখবে। এতে করে একদিকে যেমন পশু কেনাবেচার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, অন্যদিকে সাধারণ মানুষকে করোনার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য যেখানেই হাট বসানো হোক না কেন সেখানে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্বসহ সরকারের অন্যান্য নির্দেশনা মেনেই বসাতে হবে।
করোনা সংকটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গবাদিপশু কেনাবেচার গুরুত্ব তুলে ধরে এটি দেশে নতুন মাত্রা যোগ করবে জানিয়ে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, করোনার সংকট থেকে মুক্তি হওয়ার পরেও অনলাইনে গবাদিপশু ছাড়াও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচা অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অনলাইনে কেনাবেচায় লেনদেন, পণ্যের মানসহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্লাটফর্মে বেচাকেনার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে শহরের ভেতর কোনো কোরবানির পশুর হাট বসবে না বলে জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থায়ী হাট গাবতলীতে পশুর হাট বসবে। আফতাবনগর, তেজগাঁও, ভাষানটেক ও উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের হাট এবার বাতিল করা হয়েছে। হাটগুলো নগরীর উপকণ্ঠে বসবে।
ডিএনসিসির ও ই-কমার্সের উদ্যোগে ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে পশু কিনলে কোনো হাশিল দিতে হবে না বলেও জানান উত্তরের মেয়র।
No comments: