চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুকুরের পানি সরাসরি জারে ভরে বাজারজাত, ভবন সিলগালা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মাদামবিবিরহাট খাদেমপাড়া এলাকায় বিএসটিআই-এর নকল লেবেল ব্যবহার করে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করা হচ্ছিল ড্রিংকিং মিনারেল ওয়াটার। এমন একটি কারখানার গোপন তথ্য পেয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় উপজেলার মাদামবিবিরহাট এলাকায় জনৈক নুরুল ইসলামের বাড়িতে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ওই বাড়িতে অবৈধ মিনারেল ওয়াটার কারখানায় অভিযান চালাতে গিয়ে বাড়ির ভেতরে আরও কয়েকটি নকল ও ভেজাল পণ্য তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিটিউট (বিএসটিআই) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন নকল পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।
মিনারেল ওয়াটার কারখানায় অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরের পানি সরাসরি পানির জারে ভর্তি করতে। পুকুরের পানি জারে ভর্তি করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন ও কারখানায় পৌঁছে দিচ্ছেন। নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পুকুরের পানি জারে ভর্তি করে ব্যবসা করে আসছে।
অভিযানে ওই কারখানা থেকে প্রায় ৪ ধরনের নকল পণ্য ও উৎপাদনে ব্যবহৃত মেশিন পাওয়া যায়। পণ্যগুলোর মধ্য রয়েছে মিনারেল ওয়াটার তৈরি, নিম্নমানের কাপড় ধোয়ার পাউডার, চা-পাতা, দাঁতের মাজনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির বিষাক্ত কেমিক্যাল।
নুরুল ইসলাম অবৈধভাবে যে চারটি পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করেন তার কোনোটির অনুমতি নেই। বাড়ির মালিক অভিযানের সময় পলাতক ছিলেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়। এ সময় এসব পণ্য উৎপাদনকারী ব্যক্তি বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় এবং এই বাড়ির অবৈধ কাজে ব্যবহৃত রুমগুলো সীলগালা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার, অপু এবং সীতাকুণ্ডের জুনিয়ার ফিল্ড অফিসার শেখ রেজাউল করিম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় বলেন, একটি বাড়ির কয়েকটি রুমকে নকল পণ্য তৈরির কারখানা বানিয়েছে বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম। আমরা গোপন সংবাদের সূত্রে জানতে পারি, অবৈধ মিনারেল পানির কারখানা। বাড়ির দুটি ভবন সিলগালা করে ভবনটি দেখভাল করার জন্য ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
No comments: