ভিয়েরিয়েলের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ
আজ রাতেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারে স্প্যানিশ শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। মসনদ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আলফ্রেদো দি এস্তেফানো'তে ভিয়েরিয়েলের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। জয় পেলেই শিরোপা নিশ্চিত করবে জিদান শিষ্যরা। আরেক ম্যাচে ন্যু ক্যাম্পে ওসাসুনার বিপক্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার জয় হাতছাড়া হলেও শিরোপা উদযাপন করবে লসব্লাঙ্কোরা। দু'টো ম্যাচই মাঠে গড়াবে রাত একটায়।
কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। প্রবাদটা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনার বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে। একই সময়ে ভিন্ন দুটি মাঠে নামবে দুই দল। তবে একদলের সামনে শিরোপা জয়ের হাতছানি; অন্যদের প্রার্থনা অলৌকিক কিছু ঘটিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব বাঁচানোর।
নিজেদের দূর্গ। প্রতিপক্ষ ভিয়েরিয়েল। জয় পেলেই ২০১৭ সালে হারানো ট্রফিটা আরেকবার শোকেজে তোলা। রিয়ালের সামনে সমীকরণটা মেলানো খুব ভালোভাবেই সম্ভব। কারণ লিগে শেষ নয় ম্যাচেই জয় ছাড়া কিছু দেখেনি গ্যালাক্টিকোরা। বাকি দুটো ম্যাচে প্রয়োজন দুই পয়েন্ট। অর্থাৎ বার্সার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় ড্র করলেও নিজেদের ৩৪ তম লিগ শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। মানসিক চাপটাও তাই উবে গেছে কর্পূরের মতো।
ম্যাচের রণকৌশলটা ৪-৩-৩ ফরমেশনে সাজাতে পারেন জিজু। শুরুর একাদশে আসতে পারে পরিবর্তন। ভালভার্দে-ইসকোদের বদলে নামতে পারেন অ্যাসেনসিও আর হ্যাজার্ডরা। মাঝমাঠে লুকা মদ্রিচের সঙ্গি টনি ক্রুস আর ক্যাসিমিরো।
অবশ্য লকডাউন থেকে ফিরে নতুন ভিয়েরিয়েলের ধারটা বিশেষ। রক্ষণ সামলে তীর বেগে কাউন্টার অ্যাটাকে সিদ্ধহস্ত ইয়েলো সাবমেরিনরা। সে আক্রমণ একাই সামলাতে হবে কাপ্তান রামোসকে। কেননা মার্সেলো আর নাচো ইনজুরির কারণে থাকতে পারেন মাঠের বাইরে। লুকা জভিচকে নিয়েও আছে শঙ্কা। তাই শিরোপা উদযাপনের জন্য অপেক্ষা বাড়তেও পারে রিয়াল মাদ্রিদের।
৬১৪ কিলো দূরে ক্যাম্প ন্যু'তে বার্সেলোনা হয়তো মনে প্রাণে চাইবে এর চেয়েও বাজে কিছু। এছাড়াও নিজেদের জয়টা তো আদায় করতেই হবে ওসাসুনার বিপক্ষে। মাঠে বর্তমান পারফরম্যান্স বিচারে টেবিলের ১১ নম্বর দলটার সঙ্গেও যা হতে পারে কঠিন কিছু।
সদ্য ছন্দে ফিরেই ইনজুরি শঙ্কায় এ ম্যাচে সাইডবেঞ্চে থাকতে পারেন গ্রিজম্যান। ডিম্বেলে তো লম্বা সময় থেকেই মাঠের বাইরে। তবে কোচ সেতিয়েনের জন্য স্বস্তির খবর এই ম্যাচে ফিরতে পারেন কাতালানদের ডাচ মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।
বরাবরের মতো এ ম্যাচেও সবার প্রত্যাশায় মোড়া চোখজোড়া আটকে থাকবে মেসি-সুয়ারেজ জুটির ওপর। হয়তো সে প্রত্যাশা পূরণ করে জয়ও পাবে মেসিবাহিনী। তবে চীরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জয়টা ভেস্তে দিতে পারে সব আয়োজন। তাই বার্সা সমর্থকদের জন্য রাতটা সম্ভবত সুখকর নয়।
No comments: