বাংলাদেশ টেস্ট খেলে কম। এই আপ্তবাক্যটি টাইগার ক্রিকেটের ডিকশনারি থেকে মুছে যেতে পারত চলতি বছরই। সব দলকে সমান সুযোগ করে দিতে আইসিসি শুরু করেছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।
একের পর এক টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় ছিল মুমিনুল হকের দল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ওলট-পালট হয়ে গেছে সব। ঠাসা সূচির বছরেই টাইগার ক্রিকেটে পড়ে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত দীর্ঘ বিরতি।
স্থগিত হয়ে গেছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সব টেস্ট সিরিজ। এবছর আর টেস্ট খেলা নাও হতে পারে মুমিনুল-তামিম-মুশফিকদের।
বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছিল ফেব্রুয়ারিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল মনে করেন খেলা থেকে নির্বাসন সব দলকেই পিছিয়ে দেবে। তবে বেশি ক্ষতি হতে পারে বাংলাদেশের।
‘যদি পিছিয়ে যাওয়ার কথা বলেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলোও পিছিয়ে যাবে। তবে ওদের পিছিয়ে যাওয়া ও আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের জন্য হয়ত একটু ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কারণ, আমরা টেস্ট ক্রিকেটে অতটা ভালো না। তারপর আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারিনি। এই সময় খেলাটা বন্ধ যাওয়া অবশ্যই হতাশার বিষয়।’
‘আপনি যখন ধারাবাহিক খেলার মধ্যে থাকেন এবং সেসময় যদি খেলা বন্ধ হয়ে যায়, সেটা নিশ্চয়ই হতাশার। আমাদের একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, এখন পরিস্থিতির কারণেই এটা হয়েছে এবং মেনে নিয়েই নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে ও শুরু করতে হবে।’
‘আমার কাছে এমনই মনে হয়। কারণ এটা একটা বাধা হয়ে এসেছে এবং সমস্যাটা সবার। আমি আবার বলছি, এতে বড় দলগুলোর তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাদের মতো দলগুলো যারা টেস্টে ধারাবাহিক না, তাদের সমস্যা বেশি হবে। কিন্তু যে পরিস্থিতি তাতে কিছু করারও নেই। পুরো বিশ্বেরই একই অবস্থা।’
করোনাভাইরাস সাময়িকভাবে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে ক্রিকেট। অনেকদিন ধরেই মাঠে খেলা নেই। অদৃশ্য শক্তির আক্রমণে ব্যাকফুটে চলে গেছে বেশিরভাগ দেশের ক্রিকেট বোর্ড। স্থগিত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সিরিজ। এলোমেলো হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার।
পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশের চারটি টেস্ট সিরিজ। এপ্রিলে পাকিস্তান, জুনে অস্ট্রেলিয়া, জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলার কথা ছিল টাইগারদের। এ পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে দুটি ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি। সবগুলোতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে মুমিনুলের দল।
No comments: