করোনায় ধুকছে ফ্রান্সের অর্থনীতি, ৮০ শতাংশ কারখানা বন্ধ

করোনায় ধুকছে ফ্রান্সের অর্থনীতি, ৮০ শতাংশ কারখানা বন্ধ করোনাভাইরাসের প্রকোপে ধুকছে ফ্রান্সের অর্থনীতি। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই জিডিপি কমেছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় ধসের মুখোমুখি দেশটির অর্থনীতি। করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে ফ্রান্স। লকডাউনের কারণে কারখানা, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশটির জিডিপি পড়ে গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটির অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এবার। গত ১৭ মার্চ থেকে ফ্রান্সজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। স্থবির হয়ে পড়ে সব ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। ফ্রান্সের জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক স্টিফেন ক্যারল বলেন, অর্থনীতিতে এত বড় ছন্দপতন আমাদের সাইকে হতাশ করেছে। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই ৫ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম হওয়া সত্যিই উদ্বেগের। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এটি মেনে নেয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই। এরই মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছ। তবে দ্রুতই জিডিপিতে উন্নতির প্রত্যাশা করছে সরকার। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে শুধু ভোক্তা ব্যয় কমেছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। পণ্য উৎপাদন কমেছে অন্তত ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে বিনিয়োগ কমেছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতি চাকরি হারাতে পারেন কয়েক লাখ কর্মী। যা দেশটির অর্থনীতিতে ভবিষ্যতে আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জুন পর্যন্ত জিডিপি কমতে পারে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত। যা বছর শেষে দাঁড়াতে পারে মোট ৯ শতাংশে। উৎপাদন ও বিনিয়োগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক নাগাদ দেশটির অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।