করোনার মধ্যেই মাঠে গড়াচ্ছে দ. কোরিয়া ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর K-লিগ
করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ৮ মে থেকে মাঠে গড়াচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর K-লিগ। ১২ দলে এই টুর্নামেন্টে প্রাধান্য দেশি ফুটবলারদের। মানের দিক থেকেও এশিয়ার শীর্ষ লিগের তকমা পেয়েছে কোরিয়ান লিগ। র্যাংকিংয়ে আছে ৪ নম্বরে।
তখনও কোরিয়া ভাগের ধকলটা পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেনি দক্ষিণের প্রদেশটা। দেশে চলছে চরম অস্থিরতা, দূর্যোগ আর অবিশ্বাস। তখন ঠিকই গোটা অঞ্চলকে সামলে নিলো এক ফুটবল। আলাদা করে বললে ন্যাশনাল সেমি প্রোফেশনাল লিগ। গ্রীষ্ম আর বসন্ত বছরে লিগ হতো ২টা করে। ১৯৬৪ থেকে যা টানা চলেছে পরবর্তী দেড় যুগ বছর।
দক্ষিণ কোরিয়ানদের কাছে ফুটবল মানেই যেন আরেকটা ধর্ম। তুমুল এই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ১৯৮৩ সাল থেকে নিজেদের লিগটাকে একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে তারা। ৫ দলের এই টুর্নামেন্টের নাম পরিবর্তিত করে রাখা হয় K-লিগ, এবার মাঠে গড়াচ্ছে যার ৩৮তম সংস্করণ। দলের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২টি।
পেশাদার যুগে দক্ষিণ কোরিয়ান ফুটবলে একক আধিপত্য দেখাতে পারেনি কোন ক্লাব। এ পর্যন্ত লিগ টাইটেল জিতেছে ২৭টা দল যাদের প্রত্যেকেই আবার হয়েছে অবনমনের শিকারও। এমনও হয়েছে এক আসরের চ্যাম্পিয়ন ঠিক পরবর্তী আসরেই হয়েছে রেলিগেটেড। যা K-লিগকে দিয়েছে বাড়তি মাত্রা।
পুলিশ, আর্মি, নেভি আর এয়ার ফোর্স। ডিফেন্সের এই ৪ দল ১৯৮৪ সালে একত্রিত গঠন করে সাঙ্গু সানজো এফসি নামক ক্লাব। মজার ব্যাপার হলো এর আগের আলাদাভাবে ৯ বার লিগ জিতলেও এরপর আর কখনই টাইটেল জিততে পারেনি তারা।
চীন জাপানের মতো বিদেশি নির্ভরতা নয়, K-লিগে আধিক্য দেশি ফুটবলারদেরর। এএফসি কোটায় ১জন সহ মোট ৪ রিকুপ দলে ভেড়াতে পারবে এক একটা ক্লাব।
তবে স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিতিতে লেটার নয় বরং সর্বোচ্চ পাশ মার্কেস-ই পাবে কোরিয়ান লিগ। গড় উপস্থিতি ৮ হাজারের একটু বেশি। সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু সুপার ম্যাচ।
রাজধানী দুই ক্লাব সুওয়ে স্যামসাং ব্লুউইংন্স আর এফসি সিউলের মধ্যকার দ্বৈরথ পরিচিত সুপার ম্যাচ নামে। মজার ব্যাপার হলো এ পর্যন্ত দু'দলই জিতেছে ৩৫ বার করে।
শুধু সর্বোচ্চ লিগই নয়, জমজমাট লড়াই হয় কোরিয়ান প্রথম দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্তরের ফুটবলেও। দর্শক উপস্থিতিতে ২০১৭ সালে তো K-লিগকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো K-লিগ ওয়ান।
Tag: games
No comments: