কয়েক কোটি মানুষের চাকরি হারানোর শঙ্কা ইউরোপে
করোনা ভাইরাসে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপ। এতে স্পেন ও ইতালির মতো উন্নত দেশে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনসে সংস্থার দাবি, বৈশ্বিক মহামারিতে বিপদে পড়বেন ইউরোপের কর্মজীবীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ব্রিটেনে প্রায় এক-চতুর্থাংশ কর্মীকে হয় ছাঁটাই করা হবে, নয়তো বেতন কাটা হবে। অনেককে বেতন ছাড়া দীর্ঘ ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হবে। সোমবার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ইউরোপ মহাদেশে প্রাণহানির সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের। এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোদের দুই-তৃতীয়াংশই ইউরোপের বাসিন্দা।
ম্যাকিনসে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায় তাহলে ইউরোপে বেকারত্বের হার ছয় থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। যে ধরনের কাজে অন্যের বেশি কাছে যাওয়ার দরকার হয় না, সেই সব চাকরিতে ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা কম। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও স্থপতির পেশা। যারা এই দু’টি পেশায় যুক্ত, তাদের চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা কম। অন্যদিকে পুলিশের চাকরিতেও ছাঁটাই সম্ভবত হবে না। অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাতেও প্রায় সবার চাকরি বজায় থাকবে।
ম্যাকিনসে’র মতে, যাদের চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে রয়েছেন দোকানের ক্যাশিয়ার, পাচক, নির্মাণকর্মী, হোটেলকর্মী ও অভিনেতা। এই ধরনের কাজে ৮০ শতাংশ লোক যুক্ত। তাদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। তাদের কলেজের ডিগ্রি নেই। ছোটখাটো সংস্থায় কাজ করেন।
ম্যাকিনসে জানিয়েছে, ইউরোপে যদি আর তিন মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে এরপরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে ২০২১ সাল নাগাদ বেকারত্বের হার দাঁড়াবে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৪ সালের আগে সেই ধাক্কা সামলে ওঠা যাবে না।
ম্যাকিনসে বলেছে, ব্যাপকহারে ছাঁটাই আটকাতে এখনই সতর্ক হতে হবে বিভিন্ন দেশের সরকারকে এবং কোম্পানিগুলিকে ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। কর্মীরা যাতে যথাসম্ভব দূর থেকে কাজ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সরকার সহজ শর্তে ঋণ ও কর মওকুফ সুবিধা দিতে পারে কোম্পানিগুলোকে।
Tag: others
No comments: