Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » স্বেচ্ছায় কৃষকের ধান কাটছে কমিউনিস্ট পার্টি




বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে গরিব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষিদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা। রোববার (১৯ এপ্রিল) সকালে দলটির বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে শহরতলীর পুটিমারির বিলের দুইজন কৃষকের ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল, সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাদু, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন বিদ্যাসহ দশজন নেতা কর্মীরা বিলের বর্গাচাষি অনিক হাসান ও শাহানারা বেগমের ৬ বিঘা জমির ধান কেটেছেন আজ। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক চাষির ধান কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। দেশের এই সংকটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরা। কৃষক অনিক হাসান বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪শ’ থেকে ৫‘শ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ করে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা ধান কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সকালে এসেই ধান কাটা শুরু করেন। আমি খুবই আনন্দিত। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ধান রোপন ও ধান কাটার সময় কৃষকরা এক ধরনের শ্রমিক সংকটে ভোগেন। করোনা পরিস্থিতিতে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা এই ভাবে কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছেন। এ জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরণের ক্রান্তিকাল পার করছেন। এই পরিস্থিতিতে মাঠের বেশিরভাগ কৃষকের ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে চাষীরা ধান কেটে ঘরে ওঠাতে পারছেন না। তাই আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গরিব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষিদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চলমান থাকবে। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, বাগেরহাট জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আমরা শ্রমিক ও ধান কাটার যন্ত্রপাতিগুলো প্রস্তুত করেছি। যাতে আগামী মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে। এবছর ৫২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড বোরো আবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিকটন ধান।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply