করোনা মোকাবিলায় বিরল উদাহরণ আইসল্যান্ড
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিন যেখানে হাজার হাজার মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে সেখানে ব্যতিক্রম আইসল্যান্ড। মহামারি ঠেকাতে বিশ্ব লকডাউন হলেও এ পথে যায়নি দেশটি। উল্টো সব নাগরিকদের পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারের এমন উদ্যোগের কারণে মৃতের সংখ্যা কম বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা মাত্র ১০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি মানুষ।
গেল ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইতালি ফেরত এক নাগরিকের শরীরে প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্তের কথা জানায় আইসল্যান্ড। এরপর থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব পরামর্শ মেনে চলে দেশটি।
মহামারিটি প্রতিরোধে দেশজুড়ে লকডাউন না দিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে চালু রাখা হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুরুতে ১০০ জনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও পরে তা কমিয়ে ২০ জন করা হয়।
আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সেজন্য সব নাগরিককে করোনা পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কেউ চাইলেই করোনার টেস্ট করাতে পারছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। যাদের পজিটিভ এসেছে তাদেরকে চিকিৎসার পাশাপাশি সংস্পর্শে আসাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।
দেশটির এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের সবাইকে টেস্ট করানোর। যাদের পজিটিভ আসছে দ্রুত তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করা হচ্ছে।
আরেকজন বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিলো সবাইকে টেস্ট করানো। সেটা আমরা করছি। কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারায় মহামারি মোকাবিলায় আমাদের পরিকল্পনা কাজে এসেছে।
বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশের তালিকায় সবার উপরে থাকা আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। আশার কথা হচ্ছে, পরিস্থিতি অনেকটায় স্বাভাবিক থাকায় আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Tag: others
No comments: