ভৈরবের ৮ হাজার জুতা কারখানা বন্ধ, শ্রমিকরা ত্রাণের পেছনে
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে প্রায় ৮ হাজার জুতা কারখানায় ৮০ হাজার শ্রমিক কাজ করে বলে জানিয়েছেন পাদুকা সমিতি।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি হয় ভৈরবের জুতা। নৃত্য নতুন ডিজাইনের জুতা তৈরিতে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে ভৈরব। এখানকার তৈরি জুতা বিদেশেও রপ্তানি করে আয় হয় বছরে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কিশোরগঞ্জের জুতা বাজারে ধস নেমেছে। সরকারি ঘোষণা মতে, বন্ধ রয়েছে সব কারখানা ও জুতা তৈরির ৫০০ মেটেরিয়ালের দোকান।
যাদের সংসার চলে পাদুকা তৈরির পারিশ্রমিকের টাকায় সেই ৮০ হাজার পাদুকা শ্রমিক এখন বেকার সময় পার করছেন। অভাবের তাড়নায় সবাই ছুটছেন ত্রাণের পেছনে ছুটে।
ভৈরবে সাধারণত ঈদকে সামনে রেখে ছোট বড় সকল কারখানায় জুতায় পরিপূর্ণ থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি ক্রেতায় ভরে উঠত দোকানগুলো। ঈদের সময় এক মাসে পাদুকা কারিগর কাজ করে জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতেন।
পাদুকা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পোশাক শিল্পের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্টকে রাখা জুতা গুলো বিক্রির জন্য হলেও তারা তাদের দোকান খুলতে চান। এই সময়ে জুতা গুলো বিক্রি না করতে পারলে মেয়াদ শেসে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা পরবর্তীতে আর বিক্রয় করা সম্ভব হবে না।
কারখানা মালিকরা জানিয়েছেন, সারা বছর পাদুকায় ব্যবসায় লস হলেও ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত রপ্তানির ফলে তা তারা পুষিয়ে নেন। যদি সরকারি নিয়ম মেনে কিছু কারখানা খুলতে দেয়া হয় তবে কিছুটা হলেও পাদুকার কারখানা ও শ্রমিকদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।
Tag: Zilla News
No comments: