দেশে কেউ না খেয়ে থাকবে না: মোশাররফ
ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাকবে না। কারো খাদ্যের অভাব থাকলে আমাদের জানান। প্রয়োজনে আমরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেব।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে ২৫ জন চরমপন্থীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান তুলে দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য বলেন, আমরা এ সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ করে চলেছি। সামনের দিনেও করা হবে।
এ সময় সভ্য সমাজে ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি আপনাদের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনাদের দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই পবিত্র রমজান মাসে আপনাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন। সামনের দিনেও আপনাদের ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
পরে ফরিদপুর জেলায় চরমপন্থী দলের ২৫ জন আত্মসর্মপণকারী সদস্যদের মাঝে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
পাবনা জেলার শহীদ অ্যাডভোকেট আমির উদ্দিন স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল ৩৬৩ জন চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেন। তারমধ্যে ফরিদপুর জেলার ২৫ জন সদস্যও আত্মসমর্পণ করেন। তাদেরকে ওই সময়ে এক লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়েছিল।
আজ অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর-৩ সংসদীয় আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মো. লোকমান হোসেন মৃধা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা, সদর উপজেলা নির্বাহী মো. মাসুম রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাজ্জাক মোল্লা, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এইচ এম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেল প্রমুখ।
No comments: