মনে আছে বিলি বাউডেনের কথা?
ক্রিকেট ম্যাচে দর্শকদের দৃষ্টি মূলত আটকে থাকে বোলার আর ব্যাটসম্যানদের দিকেই। তবে মাঠে আম্পায়ার যদি বিলি বাউডেন হন, তবে দর্শকদের চোখ তাঁর দিকেও পড়বে। কখনও লাল কার্ড দেখানো, বাঁকানো আঙুল তুলে আউট দেওয়া, অদ্ভুতুড়ে সব ভঙ্গিতে চার-ছক্কার সংকেত কিংবা মাঠের মধ্যেই হাস্যরস সব অঙ্গভঙ্গি। আম্পায়ারদের চিরায়ত ভাবগম্ভীর প্রথাকে ভেঙে যিনি এনেছিলেন নতুন এক মাত্রা। প্রত্যেকটা সংকেতেই মিশে থাকে আলাদা একটা মজা করার প্রবণতা।
গল্পটা তার অন্যরকমও হতে পারতো। হয়তো ক্রিকেট বিশ্বের সব রেকর্ড লুটিয়ে পড়তো তার পায়ে। হয়তো ফ্লেমিং, ম্যাকালাম, ভেট্টোরির সাথে উচ্চারিত হতো তার নামও। যদি না একুশ বছর বয়সে আরথ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে আঙ্গুলটা বাকিয়ে না যেত।
ব্রেন্ট ফ্রেজার বিলি বাউডেন। সবুজ গোলাকৃতির মাঠ আর ২২ গজের উইকেটের প্রতি তার ছিলো অগাধ মমত্ববোধ। সেই ভালোবাসা থেকেই কিনা আম্পেয়ার হিসেবে ১৯৯৫ সালে ক্যারিয়ার শুরু বিলির।
মাঠে ভিন্নরকম সব কাণ্ড করে ম্যাচ পরিচালনা করে দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তবে সবচাইতে জনপ্রিয় বোধ' হয় আন্ডারআর্ম বল করতে চাওয়ায় গ্লেন ম্যাকগ্রাকে লাল কার্ড দেখানো।
No comments: