জাপানে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ফুটবল খেলা!
চলমান পরিস্থিতিতে দর্শক শূন্য গ্যালারিতে ফুটবল ও বেসবলের মত খেলা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে জাপানের ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। তবে জরুরি পরিস্থিতি তুলে নেয়ার আগে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জে লিগের সভাপতি মিতসুরু মুরাই। এদিকে, খেলা চালানোর মত পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
জাপানে করোনা হানা দেয়ার পর থেকেই থমকে গেছে সেখানকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। যার নেতিবাচক প্রভাব মারাত্মক ভাবে পড়ে দেশটির খেলার মাঠে। স্থগিত করা হয় অলিম্পিক। বন্ধ হয়ে গেছে স্থানীয় আসরগুলোও।
প্রায় মাস তিনেক অবরুদ্ধ থেকে ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গেছে তাদের। জরুরী পরিস্থিতির মাঝেই মাঠে খেলা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ফেডারেশন। তবে ফুটবল ও বেসবলের নীতি নির্ধারকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এখন সম্ভব নয় কোনটিই।
জে লিগের সভাপতি মিতসুরু মুরাই বলেন, আমাদের দেশের জরুরি অবস্থা চলছে। এ মুহূর্তে মাঠে ফুটবল ফেরানোর কোন পরিকল্পনাই আমাদের নেই। কারণ কারো জীবন ঝুঁকিতে ফেলার অধিকার আমাদের নেই। তাছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ফুটবলারাও খেলতে চাইছে না। আমরা তাদের কথাই প্রাধান্য দিয়েছি।
এনপিবি'র কমিশনার আতসুশি সাইতো বলেন, ফুটবলের মত বেসবলটাও জাপানে বেশ জনপ্রিয়। মাঠে যখন খেলা হয় তখন দর্শক থাকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। অনেকেই আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে খালি মাঠে খেলা আয়োজনের। তবে খেলোয়াড়দের কথাটাও ভাবতে হবে। সব মিলিয়ে আমি ঝুঁকি না নেয়ার পক্ষে।
এদিকে, জাপানের প্রতিবেশি দেশ হয়ে অনেক কিছু শিথিল করেছেন তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া। দেশ দুটিতে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে কিছু খেলাও। তবে জাপানীদের সে পথ মাড়াতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।
জাপান ওষুধ বিশেষজ্ঞ কাজুহিরো টাটিডা বলেন, এটা ঠিক তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল করেছে। তবে আমাদের সে পথে হাটলে চলবে না। কারণ ওরা ওদের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। তবে আমরা এখনও সে অবস্থানে যাই নি। তাই এই পরিস্থিতিতে জাপানে খেলা ফেরানোটা হবে আত্মঘাতীর সামিল।
করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত জাপানে মৃতের সংখ্যা ২৯৯। আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজারেরও বেশি।
Tag: games
No comments: