যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের বিরুদ্ধে রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যেসব অর্থনীতি বন্ধ করা হয়েছিলো সেসব আবার খোলার দাবি নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যের বাসিন্দারা।
আরিজোনা, কলোরাডো, মন্টানায় এই বিক্ষোভ দেখা দেয়। তারও আগে আরো ছয়টি রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অনেকে। সোমবারও অনেকে রাস্তায় নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছেই। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
যেসব জায়গায় করোনার প্রভাব খানিকটা স্তিমিত হয়েছে সেসব রাজ্যের গভর্নররা পুনরায় অনেক কিছু চালু করার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে লকডাউন কঠোরভাবে পালন করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম প্রথম ঘরে থাকার নির্দেশনা দেন গত ১৯ মার্চ। পাশের ওয়েস্ট কোস্ট রাজ্য ওয়াশিংটন ও ওরিগনে কয়েকদিন পরেই ২৩ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিউইয়র্ক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলছেন, তাদের ঘরে থাকার নির্দেশনা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়তে পারে। এখন কেবল এই পরিস্থিতির হাফটাইম চলে।
যুক্তরোষ্ট্রে এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ আর প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজার।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী সেটা মহামারী রূপ ধারণ করে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ আর প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার।
No comments: