চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপে উদ্বিগ্ন রপ্তানিকারকরা, আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা
চীনে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্বিগ্ন দেশের রপ্তানিকারকরা। কবে নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে তাও বোঝা যাচ্ছে না। ফলে সংকটে পড়েছে তৈরি পোশাক, চামড়া, পাটসহ প্রায় সব ধরনের রপ্তানি খাত। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এ অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে বড় রকম ঝুঁকিতে পড়বেন দেশের উদ্যোক্তারা।
অদ্ভুত এক সমস্যার মুখোমুখি এখন শহীদুল্লাহ আজিম। তৈরি পোশাক খাতে ৩ দশকের পদচারণা তার। প্রয়োজনের তাগিদে চীন থেকে প্রতিনিয়তই তাকে করতে হয় কাপড়সহ বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি। তবে সম্প্রতি প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরের চীনা করোনাভাইরাস ভাবনায় ফেলেছে বিজিএমইএর এই সাবেক সহসভাপতিকে।
দেশটিতে তৈরি হওয়া জরুরি অবস্থায় আটকে গেছে তার বেশকিছু চালান। কবে নাগাদ তা আসবে ঠিক নেই তাও।
এর চেয়েও জটিল সমস্যায় চামড়া খাতের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন আহমেদ। রপ্তানি করতে পারছেন না, প্রায় ১০ লাখ ডলারের প্রক্রিয়াজাত চামড়া।
ট্যানারি শিল্পনগরীর টানাপোড়েনে বেশ কবছর ধরেই চামড়া শিল্পের বেহাল দশা। সম্ভব হচ্ছে না ইউরোপে রপ্তানি। তাই চীনা বাজারই ছিল বেশিরভাগ উদ্যোক্তার টিকে থাকার ভরসা। এখন রপ্তানি তো দূরের কথা, অনেক ক্রেতার সাথে যোগাযোগই সম্ভব হচ্ছে না।
রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ছাড়াও তৈরি পণ্যে আমদানিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্ভরতা চীন। দেশটি থেকে গেল বছর আনতে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য, যা মোট আমদানির ২৬ ভাগের বেশি। এরমধ্যে তৈরি পোশাকের কাঁচামালই প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার। তবে শুধু আমদানিই নয়, বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি গন্তব্যও দেশটি। করোনাভাইরাসের সংক্রমন তাই ভালোমতোই সংশয়ে ফেলেছে অর্থনীতিকে।
বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাজট্রিজের তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এই সংকট চলমান থাকলে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য।
No comments: