এই জয়টা আমাদের নতুন দিগন্তের সূচনা করবে’
একটু এদিক-ওদিক হলেই শেষটা বিষাদের হতে পারত। ম্যাচের আগে যে চাপকে একপাশে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের যুবারা, সেটা প্রায় চেপেই বসে গিয়েছিল। চিত্রনাট্য আর বদলাতে দেননি উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা অধিনায়ক আকবর আলী। শেষ পর্যন্ত জয় হল তার কঠিন প্রতিজ্ঞার। পাল্টে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাস।
পচেফস্ট্রুমে রোববার ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ যুব দল। ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০২ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটাকে ক্যাপ্টেন্স নকে দেশের প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ দেন আকবর।
পুরো আসরে মিডলঅর্ডারে ব্যাটিংয়ে সুযোগ না পাওয়া আকবর ফাইনালে যখন নামলেন, ৬২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে দল। চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। আকবর নামার কিছুক্ষণ বাদে ফিরে যান শাহাদাত হোসেন দিপু, শামিম হোসেন ও অভিষেক দাস। বাধ্য হয়ে চোট নিয়েই আবারও মাঠে ফেরেন ইমন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অধিনায়ক ও ইমনের ৪১ রানের জুটি এরপর আস্তে আস্তে পাল্টে দেয় ম্যাচের দৃশ্য। এমন চাপের মুহূর্তে ইমনকে কী বলেছিলেন আকবর? ‘যখন আমি উইকেটে গেলাম তখন আমাদের দরকার ছিল একটা জুটির। আমি অপরপ্রান্তের সঙ্গীকে বললাম যে, আমাদের আর উইকেট হারানো চলে না। খুব সহজ একটা পরিকল্পনা।’
টপঅর্ডারের সাফল্য ফাইনালের আগ পর্যন্ত খুব একটা ব্যাটিং নামা হয়নি আকবরের। এদিন যখন ভীষণ চাপে দল, অধিনায়ক পথ দেখিয়ে ম্যাচসেরা, ‘আমি একজন মানুষ যে সব সময় সবকিছুকে সহজভাবে দেখতে চাই। পুরো আসরে আমি এই প্রথম ভালোভাবে খেলার সুযোগ পেলাম, নেমেই ভাবলাম দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতে।’
‘শেষপর্যন্ত স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। গত দুই বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলেছে। কোচিং স্টাফকে অশেষ ধন্যবাদ যারা আমাদের মাঠে, মাঠের বাইরে দারুণ রকম সমর্থন দিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা। তবে এটা কেবল শুরু। আশা করবো এই জয়টা আমাদের নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।’
শেয়ার করুন:
No comments: