হ্যামিলটন: সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি লক্ষ্যমাত্রা দিয়েও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ ভারতীয় দল। ব্যাটসম্যানদের গড়ে দেওয়া মঞ্চে আস্থা হয়ে উঠতে পারলেন না ভারতীয় বোলাররা। সিরিজের প্রথম ওয়ান-ডে ম্যাচে কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ শামি, শার্দুল, কুলদীপদের।
টি-২০ সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েও মনোবল হারায়নি নিউজিল্যান্ড। বরং কেন উইলিয়ামসনহীন ব্যাটিং লাইন আপের দাপুটে পারফরম্যান্সে ভর করে কোহলিদের ৪ উইকেটে হারিয়ে তিনম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কিউয়িরা। অপরাজিত শতরানে ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিলেন অভিজ্ঞ রস টেলর। যোগ্য সঙ্গত হেনরি নিকোলস, অধিনায়ক টম ল্যাথামের।
সেডন পার্কে টস জিতে এদিন সফরকারী দলকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান কিউয়ি অধিনায়ক টম ল্যাথাম। অধিনায়ক বিরাট কোহলির অর্ধশতরান (৫১), শ্রেয়সের অভিষেক শতরান (১০৩), কেএল রাহুলের মারকাটারি অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস এদিন একবারের জন্য ভারতীয় শিবিরে রোহিত শর্মা কিংবা শিখর ধাওয়ানের অভাব বোধ করায়নি। এমনিতেও ঘরের মাঠে গত ওয়ান-ডে সিরিজে ‘ক্যাঙ্গারু বধ’ কিংবা টি-২০ সিরিজে কেন উইলিয়ামসনের দলকে ৫-০ বিধ্বস্ত করার পর এদিন বাজি ছিল ভারতের পক্ষেই।
ব্যাট হাতে সেই প্রত্যাশা মেটালেন দলের ব্যাটসম্যানেরা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং শুরু হতেই মনে হতে লাগল কোহলির দলের বোলাররা বুঝি মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী। তা সে টি-২০ সিরিজের কথা মাথায় রেখেই হোক অথবা স্কোরবোর্ডে ৩৪৭ রান দেখে। আর শুরু থেকেই সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে থাকলেন মার্তিন গাপ্তিল-হেনরি নিকোলসরা। ক্রিজে সেট হয়েও ব্যক্তিগত ৩২ রানে গাপ্তিল যখন শার্দুলের শিকার হলেন, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ১৫.৪ ওভারে ৮৪।
বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না ব্লান্ডেলের ইনিংস। মাত্র ৯ রানে আউট হলেন তিনি। এরপর ক্রিজে নেমে নিকোলসের সঙ্গে দলের হাল ধরলেন পোড় খাওয়া ব্যাটসম্যান রস টেলর। ২৮.৩ ওভারে দলীয় ১৭১ রানের মাথায় শরীর শূন্যে দিয়ে নিকোলসকে রান আউট করলেন বিরাট। ৭৮ রানে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন নিকোলস। তবে ম্যাচে মোটামুটি জাঁকিয়ে বসা নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে আর হারিয়ে যেতে দেননি অভিজ্ঞ টেলর। অধিনায়ক ল্যাথামকে সঙ্গে নিয়ে মোটামুটি কার্যসিদ্ধি করে ফেলেন তিনি।
No comments: