স্পষ্ট হয়ে গেল ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার পরিণতি
সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে সিনেটে উপস্থিত করার যে দাবি ডেমোক্র্যাট পার্টি জানিয়েছিল তা নাকচ করে দিয়েছেন সিনেটের রিপাবলিকান সদস্যরা।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বোল্টনের মতো সাক্ষীদের তলব করা হবে কিনা সে বিষয়ে গতরাতে ভোটাভুটি হয়।এতে ৫১ রিপাবলিকান সিনেটর সাক্ষী হাজিরের বিপক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে ৪৭ ডেমোক্র্যাট সদস্যের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগ দেয়া দু’জন রিপাবলিকান সিনেটর সাক্ষী তলবের পক্ষে ভোট দেন।
কিন্তু তাতেও সামান্য ব্যবধান রিপাবলিকানদের বিজয় হয়। সাক্ষী হাজিরের বিষয়টি নাকচ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরো বেশি বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেলেন এবং সেইসঙ্গে তার ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পরিণতিও স্পষ্ট হয়ে গেল।
মিট রমনি ও সুসান কলিন্স
এখন আগামী দু’একদিনের মধ্যে সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের বিষয়ে চূড়ান্ত ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে যেখানে এই রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট সিনেটররাই ভোট দেবেন।ট্রাম্পকে ইমপিচ করে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (দুই-তৃতীয়াংশ ভোট)। কিন্তু তারা দুজন রিপাবলিকান সিনেটরকে পক্ষে পেয়েও সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার (অর্ধেকের বেশি) মাপকাঠিতেই পিছিয়ে রয়েছেন।
১০০ সদস্যবিশিষ্ট মার্কিন সিনেটে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার যে এরকম একটা পরিণতি হবে তা আগে থেকেই স্পষ্ট ছিল। কারণ, সেখানে রিপাবলিকান দলের সদস্য সংখ্যা ৫৩ এবং ডেমোক্র্যাটদের রয়েছে ৪৭ আসন। ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে হলে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন ছিল ৬৭ আসন অর্থাৎ আরো ২০ রিপাবলিকান সিনেটরকে তাদের পক্ষে আসতে হতো।অবশ্য ডেমোক্র্যাট পার্টি আশা করেছিল ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা প্রমাণিত হলে অনেক রিপাবলিকান সিনেটর প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন। কিন্তু গতরাতের ভোটাভুটিতে বোঝা গেল, ট্রাম্প যত বড় অন্যায়ই করুন না কেন, মিট রমনি ও সুসান কলিন্স ছাড়া আর কোনো রিপাবলিকান সিনেটর ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে আসবেন না।#
Tag: world
No comments: