ফেদেরারের সঙ্গে মাঠে বিল গেটস
রজার ফেদেরার ফাউন্ডেশন। সুইজারল্যান্ডসহ আফ্রিকার ৬টি দেশে কাজ করে এ দাতব্য সংস্থাটি। যার উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে, হয়ে গেলো এক চ্যারিটি টেনিস ম্যাচ। ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রথম। যে ম্যাচকে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে ছিল তুমুল উন্মাদনা। অংশ নিয়েছিলেন নাদাল-বিল গেটস ও ট্রেভর নোয়ার মতো বিভিন্ন অঙ্গণের তারকারা।
একপাশে নাদাল, তার সঙ্গী বিখ্যাত কমেডিয়ান অভিনেতা ট্রেভর নোয়া। অন্যপাশে ফেডেক্সের টিমমেট ধনকূব বিল গেটস। খেলার ধরন দেখেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই। ভড়কে যাওয়ার তো একেবারেই না। এটা ব্যাডমিন্টন খেলার কোনো দৃশ্য নয়, নয় লন টেনিসের নতুন কোনো সংস্করণও। কিংবা এটাও ভাবার অবকাশ নেই মাইক্রোসফটের ব্যবসা বাদ দিয়ে টেনিসে মজেছেন বিল গেটস। তবে এটা টেনিসের চেয়েও বেশি কিছু। এমন ম্যাচের উদ্দেশ্যটা মহৎ।
রজার ফেদেরার ফাউন্ডেশন। নামটি অতি পরিচিত আফ্রিকার ভাগ্য পীড়িত জনগোষ্ঠীর কাছে। দাতব্য এ সংস্থাটির জন্য তহবিল সংগ্রহে, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে হয়ে গেলো এমন চ্যারিটি ম্যাচ।
খেলার মাঝেই ফেডেক্স-নাদাল কখনো বনে গেলেন বলবয় চরিত্রে। সব মিলিয়ে এ যেন উৎস এক আবহাওয়া।
রজার ফেদেরার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রজার ফেদেরার বলেন, এমন ম্যাচের আয়োজন করতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। রাফাকেও ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে। আমরা যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে পাশের অসহায় মানুষটিকে সাহায্য করি, আমার বিশ্বাস পৃথিবীতে তাহলে অসুন্দর বলে কিছুই থাকবে না।
টেনিস খেলোয়াড় রাফায়েল নাদাল বলেন, আমি শুধু এটুকুই বলব এমন কিছুর জন্য রজার ফেদেরার আর তার পরিবারকে ধন্যবাদ। এমন আয়োজন আমাকেও আমার দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সজাগ করে দেয়।
মহৎ এ উদ্দেশ্যে শামিল হতে মাঠে উপস্থিত ৫১ হাজার ৯৫৪ জন দর্শক। প্রদর্শনী ম্যাচ হলেও রাফা-ফোডেক্সের শারীরিক ভঙ্গি প্রায়শই বুঝিয়ে দিচ্ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধুর কাছ হারতে নারাজ দু’জনেই। তবে শেষ পর্যন্ত ফেদেরার ম্যাচ জেতেন ৬-৪,৩-৬-৬-৩ সেটে। তবে এমন দিনে ফলাফলে কিইবা আসে যায়।
রজার ফেদেরার ফাউন্ডেশন এ পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষায় ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। প্রতিষ্ঠা করেছে ৭হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামী দুই বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য প্রতিষ্ঠানটির।
No comments: