Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাংলাদেশের বিশ্বজয়!




স্বপ্নের ট্রফির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা। উত্তেজনাকর পারদ যখন চরমে তখন বৃষ্টির হানা। সেটি আবার থেমেও গেলো। সমীকরণ দাঁড়ায় ৩০ বলে ৭ রান। ২৩ বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নেন রাকিবুল হাসান। স্বপ্নের শিরোপা জয় করে বাংলাদেশের যুবারা। যেকোনো পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয় এটি। এর মাধ্যমে এদেশের ক্রিকেট পদার্পন করলো এক নতুন যুগে। স্বর্ণাক্ষরে লেখা হলো নতুন ইতিহাস। পচেফস্ট্রুমের ফাইনাল ম্যাচ কখনো বাংলাদেশের দিকে হেলছিল তো কখনও ভারতের দিকে। ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে পারভেজ হোসাইন ইমন ফিরে যাওয়ার পর যেন আতঙ্ক পেয়ে বসে বাংলাদেশের যুবাদের। তবে ঠিকই ক্রিজে দাঁড়িয়ে পড়েন অধিনায়ক আকবর আলী ও রাকিবুল হাসান। গুনে গুনে ৯ ওভার পার করলেন তারা, যোগ করলেন ২০ রান। তারপরই বৃষ্টির হানা। উত্তেজনার পারদ কিছুটা নামিয়ে দিয়ে ম্যাচ তখনই বাংলাদেশের দিকেই হেলেছে। খেলা আর মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে ১৮ রানে জয় পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠে খেলেই বিজয় তুলে নেয়ার আঁশ যে মিটতো না। এই যুবারা যে আফসোসে বিশ্বাসী না! এর আগে, উদ্বোধনী জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৮.৫ ওভারে ৫০ রানের জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু রবি বিষ্ণুর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান করে ফেরেন তরুণ এ ওপেনার। উড়ন্ত সূচনার পরও সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দলীয় ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ভারতীয় লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণুর বল খেলতেই পারছিলেন না বাংলাদেশি যুবারা। নিজের করা প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে বাংলাদেশের ৩ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান ১৯ বছর বয়সী ভারতীয় এ লেগ স্পিনার। ১৩-তম ওভারে রবি বিষ্ণুর বলে আউট হয়ে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ওই ওভারেই পায়ে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তৃতীয় উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক আকবর আলী। ইমন আউট হওয়ার পর শূন্য রানের ব্যবধানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়ও। দলীয় ৬৫ রানে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন শাহাদাত হোসেন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আকবর আলীকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি শামিম হোসেনও। তিনি ২০ রানের জুটি গড়ে আউট হন। এরপর আকবর আলীর সঙ্গে ১৭ রানের জুটি গড়তেই আউট হয়ে যান বোলিংয়ে মাঠ কাঁপানো অভিষেক দাস। ২৩ ওভারে দলীয় ১০২ রানে ৭ উইকেট পতনের পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ফের ব্যাটিংয়ে নামেন। সপ্তম উইকেটে ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন আকবর আলী। তাদের এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে জয়ের জন্য ১০৯ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান। খেলার এমন অবস্থায় সজোরে ব্যাট চালাতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইমন। তার আগে ৭৯ বলে ৭টি চারের সাহায্যে করেন ৪৭ রান। পায়ের ইনজুরি নিয়ে তিনি যেভাবে খেলেছেন সেটি সহজে ভুলবেন না বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। ১৪৩ রানে ৭ উইকেট পতনের পর পরপর দুই ওভার মেডেন দেন আকবর আলী ও রাকিবুল হাসান। পরে সেখান থেকে চাপ জয়ের মিশন, ট্রফির কাছাকাছি এগোতে থাকা, বৃষ্টির হানা, এক সময় ম্যাচ জয়। এর আগে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় ভারতীয় যুব দল। দলীয় ৯ রানে ভারতীয় ওপেনার দিব্বাংশ সাক্সেনাকে সাজঘরে ফেরান অভিষেক দাস। এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন যশস্বী জসওয়াল। এই জুটিই বেশি ভুগিয়েছে বাংলাদেশি যুবাদের। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েন জসওয়াল ও ভার্মা। তিলক ভার্মাকে আউট করে জুটির বিচ্ছেদ ঘটান তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ১০৩ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিলক ভার্মা। তার আগে ৬৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশি যুবারা। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে দ্রুত সাজঘরে ফেরান রাকিবুল হাসান। ভারতীয় শিবিরে এরপর জোড়া আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ভারতীয় ওপেনার জসওয়ালকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল। তার বলে তানজিম হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জসওয়াল। তার আগে ১২১ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৮৮ রান করেন ভারতীয় এ ওপেনার। ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার সিদ্ধেশ বীর। তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। কিন্তু পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেটে সাফল্য না পাওয়ায় হ্যাটট্রিক হয়নি তার। এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৩৮ বলে ২২ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ধ্রুব জুরেল। ৬ বলে ২ রান করার সুযোগ পান রবি বিষ্ণু। ৭ বলে ৩ রান করে অভিষেক দাসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অথর্ব আঙ্কোলেকার। কার্তিক ত্যাগীকে রানের খাতা খোলারই সুযোগ দেননি বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসার অভিষেক দাস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সুশান্ত মিশ্রকে আউট করে ভারতকে ১৭৭ রানে গুটিয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। সেখান থেকেই বিশ্বকাপে ঘ্রাণ পাওয়া শুরু করে জুনিয়র টাইগাররা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭/১০ (জসওয়াল ৮৮, তিলক ভার্মা ৩৮, ধ্রুব জুরেল ২২; অভিষেক ৩/৪০, তানজিদ হাসান সাকিব ২/২৮, শরিফুল হাসান ২/৩১)। বাংলাদেশ: ৪২.১ ওভারে ১৭০/৭ (ইমন ৪৭, আকবর ৪৩*, তানজিদ ১৭)। ফল: বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply