বিচারক হত্যা মামলার পিপিকে হত্যায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলার পিপি (সরকারি কৌশলী) হায়দার হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ জেএমবি সদস্যের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন: নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মো. তানভীর ওরফে মেহেদি, আমিনুল ওরফে আমির হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও সমীর হোসেন ভূঁইয়া। এদের মধ্যে বিল্লাল হোসেন পলাতক।
এর আগে বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দীনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
গতকালের দেয়া এই রায়ের বিষয়টি সোমবার জানান রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আদালতে এই মামলায় আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, এস এম মাহাবুবুল ইসলাম ও মো. কামাল। পলাতক আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আসাদুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদের সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, সৈয়দা শবনম মুশতারী ও তরিকুল ইসলাম।
এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়: ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ে। এরপর ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ঝালকাঠির গোরস্থান মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন হায়দার হোসেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনার ঝালকাঠি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত হায়দার হোসেনের ছেলে মো. তারেক ইবনে হায়দার। এরপর ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হালিম পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এই রায়ের পর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্ট আসে। এছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিন আসামি আপিল ও এক আসামি জেল আপিল করেন। সেই ডেথ রেফারেন্স মঞ্জুর করে আসামিদের আপিল খারিজ করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।
Tag: others
No comments: