সীমাবদ্ধতা থাকলেও চীন ফেরতদের হজ্ব ক্যাম্পেই থাকতে হবে: আইইডিসিআর

সীমাবদ্ধতা থাকলেও চীন ফেরতদের হজ্ব ক্যাম্পেই থাকতে হবে: আইইডিসিআর চীন থেকে আসা ৩৪ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। গতকাল রাতে, হজ ক্যাম্প থেকে একজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যারা আশকোনায় কোয়ারান্টাইনে আছেন, তাদের সেখানে বেশ কয়েকদিন থাকতে হবে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সিটিউট আইইডিসিআর। ফয়সাল আলম নামে এক শিক্ষার্থী চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে আছেন ৩ বছর ধরে। লেখাপড়া করছেন উহান ইউনিভার্সিটি অব জিয়োসায়েন্সে। দেশে ফিরেছেন গত ৭ জানুয়ারি। বলা হচ্ছে, উহানের একটি মাছের বাজার ছড়িয়েছে এই করোনাভাইরাস। ফয়সাল আলম জানালেন, চীনের মাছবাজারের চিত্র এবং সেখানে থাকা বাংলাদেশিদের সর্বশেষ অবস্থা। গেলো ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে বিশেষ বিমানে দেশে আনা হয় ৩১২ বাংলাদেশিকে। ৩০২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় আশকোনা হজ্ব ক্যাম্প। সেখানে থাকা একজন জানালেন, ভালো আছেন সবাই। বর্তমানে সিএমএইচে আছেন তিনটি পরিবার। আর হ্বজক্যাম্প থেকে নতুন করে একজনকে পাঠানো হয়েছে কুর্মিটোলো হাসপাতালে। সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সিটিউটের পরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। জানান, সীমাবদ্ধতা থাকলেও হজ্ব ক্যাম্পেই থাকতে হবে তাদের। তবে কতদিন থাকতে হবে, সে বিষয়ে জানানো হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আলোচনার পর। আইইডিসিআর এর পরিচালক জানান, চীনে থাকা বাংলাদেশিদের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। সব এয়ারলাইন্সকে স্ক্রিনিং এর আওতায় আনার কথাও জানান তিনি।