জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টাইগারদের স্বপ্নযাত্রা শুরু
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে স্বপ্নযাত্রার শুরু। বৃষ্টির বাগড়ায় ভেস্তে যাওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাদ দিলে, এরপর যারাই পড়েছে টাইগার যুবাদের সামনে ভেসে গেছে খড়কুটোর মতন। আকবর আলীর দলের কাছে একে একে ধরাশায়ী হয়েছে স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা আর নিউজিল্যান্ডের যুবারা। কেমন ছিলো ইয়াং টাইগারদের ফাইনালে ওঠার পথটা। তাই দেখে নেবো এবারের প্রতিবেদনে।
যুবাদের বিশ্বকাপের ড্র দিনে নিশ্চিতরূপেই নানা শঙ্কা ভর করেছিলো আকবর আলী দলের। পকিস্তান-জিম্বাবুয়ে-স্কটল্যান্ড। ৪ গ্রুপের সবচাইতে কঠিন সমীকরণ। ১ ম্যাচেই পা হড়কালে বিপদ। এমন সমীকরণে থেকেও ইয়াং টাইগার'রা হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
স্বপ্নযাত্রার শুরুটা ১৮ই জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। জেবি মার্কস ওভালে বৃষ্টিবৃঘ্নিত সে দিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে জুনিয়র টাইগারদের বোলিং তোপে পরে জিম্বাবুয়ের যুবারা। ২৮ ওভার ১ বলে তারা তুলতে পারে মোটে ১৩৭। ইমনের ঝড়ো ফিফটিতে ৯ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাভিদ শিষ্যরা।
ম্যাচের আগে হুংকার দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ড উড়ে যায় তাসের ঘরের মতন। এবার দৃশ্যপটে স্পিনার রাকিবুল হাসান। ১ হ্যাট্রিকসহ তার ৪ উইকেটের দিনে স্কটিশরা অল-আউট মোটে ৮৯তে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশকে খেলতে হয় ১০০ বল।
পরের ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা হয়নি সম্পূর্ণ। তবে যেটুকু হয়েছে তাতে দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তানের পেসার'রা। তবুও ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্টকে সঙ্গী করে রান রেটে এগিয়ে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে পাড়ি জমায় বাংলাদেশ।
টাইগার যুবাদের দোর্দন্ড প্রতাপের শুরুটা কোয়ার্টারে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে। ২০১৪ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভারে তিন ফিফটিতে বাংলাদেশ করে ২৬১। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। জবাবে এ ম্যাচেও রাকিবুলের ঘূর্ণি-যাদুর কোন জবাব ছিলো না প্রোটিয়াদের। ৪২.৩ ওভার তারা লড়াই করেছে ঠিকই তবে থেমেছে ১৫৭তে।
৬ ফেব্রুয়ারি ছিলো যুবাদের ইতিহাস সৃষ্টির দিন। হাতছানি ছিলো প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোন আসরে ফাইনালে ওঠার। ব্ল্যাকক্যাপদের ২১১ রানের টার্গেটটা জয়ের হার না মানা শতকে বাংলাদেশ টপকে যায় ৩৫ বল হাতে রেখেই।
আর মাত্র ১ ধাপ। স্বপ্নপূরণের জন্য চাই মাত্র ১টা জয়। ভারত হোক যতই মাপরাক্রমশালী,এ দিন মুখ থুবড়ে পড়ুক টাইগার যুবাদের সামনে। লাল সবুজ মাতুক শিরোপা জয়ের উল্লাসে। আপাতত প্রার্থনা হোক একটাই।
Tag: games
No comments: