প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অটল তাপস, বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার ইশরাকের

রাত পোহালেই বহু কাঙ্ক্ষিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। টানা ২২ দিনের প্রচারণার মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই দক্ষিণ সিটির প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভোটারদের। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীই বলছেন, ভোটের জন্য তারা শতভাগ প্রস্তুত। তবে ভোটাররা বলছেন, ইশতেহার আর প্রতিশ্রুতিতে নয়, তারা চান উন্নয়নবান্ধব জনপ্রতিনিধি। ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন ভোটারের বসতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়। ঢাকা বলতে যা বোঝায় তার সব স্থাপনাই অবস্থিত এ ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে। বহু ঐতিহ্যে আবৃত সেই ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ও কাউন্সিলর হয়ে নগরীর সেবক হতে প্রায় মাসব্যাপী চলছে প্রচার-প্রচারণা। তবে উত্তর সিটির চেয়ে নিজেদের অবহেলিত দাবি করে দক্ষিণ সিটি ভোটাররা বলেছেন, সবাই নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও বিগত সময়ে কেউই কাঙ্খিত উন্নয়ন করেননি। প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত দাবি করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলছেন, মেয়র নির্বাচিত হলে সংসদ সদস্যের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি ঢাকা দক্ষিণকে সচল করে তুলবেন। ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমি আহবান করব এ সুযোগটা আপনারা কাজে লাগাবেন। আমি নির্বাচিত হতে প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি পালন করব। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা এমন সংশয় প্রকাশ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলছেন, তিনি মেয়র হলে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশ্রণে ঢাকা দক্ষিণকে বসবাসযোগ্য করে তুলবেন। ঢাকা দক্ষিণের বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ইভিএম নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়েছে, তারপরও আমরা ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা না থাকলে আমাদের পোলিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রে থাকবে। দক্ষিণে মেয়র পদে ৭ জন, ৭৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩২৭ ও ২৫টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়বেন ৮২ জন।