শেষ হলো ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রচারণা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে; বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে কোনও ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী; ভোট গ্রহণের ৩২ ঘন্টা আগে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ করতে হয়। যেহেতু ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভোট গ্রহণ শুর হবে তাই ৩০ জানুয়ারি দিনগত রাতেই প্রচারণা শেষ করতে হয় প্রার্থীদের। ১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এবারেই প্রথমবার দুই সিটি করপোরেশনের সব বুথে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের কারণে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অনুশীলনমূলক ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে রাজধানীতে টানা ৫৪ ঘন্টা মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। এই নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এছাড়া মোটরযান চলাচলে ১৮ ঘন্টার জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এটি শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকাসমূহে কার্যকর হবে। এর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। গেল বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচন দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয় তাকে। সিটি করপোরেশনের তারিখ পরিবর্তনে মানববন্ধনও হয়। আদালত পর্যন্ত গড়ায় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে ইসি, যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে সরস্বতী পূজা উদযাপন করতে পারেন।