‘জন্মশতবর্ষ আয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে’
‘জন্মশতবর্ষ আয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে’
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার আয়োজন স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের রাজনীতিক, কুটনীতিকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ। তারা বলছেন, রাজনীতির উর্ধ্বে থাকা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের এ আয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।
ক্ষণগণনার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে উদ্বেলিত সাধারণ মানুষ বলছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে এ আয়োজন মাইলফলক। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটি তাদের কাছে ইতিহাস। তারপরও প্যারেড স্কয়ারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেন ছুঁয়ে গেল আবেগ।
আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের উচ্ছ্বাসটাই ছিল সবচেয়ে বেশি। বয়সে প্রবীণ যারা, তারা হাতড়ে নিলেন স্মৃতির পাতা। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করলেন জাতির পিতাকে।
রাজনীতিবিদ সুলতান মনসুর বলেন, এই প্রজন্ম কিন্তু সেই ইতিহাস দেখেনি, দেখার সুযোগ পায়নি। সেই দিনটা কেমন ছিল নতুন প্রজন্ম আজ দেখতে পেল।
রাজনীতিবিদ ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাসের সন্ধান দেবে। তাদের উৎসাহিত করবে বাংলাদেশকে আরো বেশি ভালোবাসার।
রাজনীতিবিদ আ স ম আব্দুর রব বলেন, জাতির জনককে জাতির কাছে তুলে ধরা- এটা খুব প্রশংসনীয়। উনাকে একজন দলীয় ব্যক্তি হিসেবে মনে করা অপরাধ এবং পাপ।
রাজনীতিবিদ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আরো বেশি বেশি করে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে এই বিষয়গুলো।
ক্ষণগণনার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকও। এ আয়োজনের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা তাদের।
সাধারণ মানুষদের প্রত্যাশা, ঐক্যবদ্ধ বাঙালি ভুলবে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প।
তারা বলেন, আজকের এই জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনায় উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
এক বাবা বলেন, বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন তা বাচ্চাদের চেনানোর জন্যই তাদের এখানে নিয়ে এসেছি।
ক্ষণগণনার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
No comments: