Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ফের টাই, ফের সুপার ওভার, ওয়েলিংটনে রুদ্ধশ্বাস জয়, সিরিজে ৪-০ এগিয়ে কোহালিরা




টানটান উত্তেজনার মধ্যে ওয়েলিংটনে সুপার ওভারে জিতল ভারত। হ্যামিল্টনের মতই সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিও হয়েছিল টাই। ফলে ফের সুপার ওভারে গড়িয়েছিল খেলা। আর সেখানে বাজিমাত করল টিম ইন্ডিয়া। এক বল বাকি থাকতে এল জয়। একই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ এগিয়ে গেল বিরাট কোহালির দল।
হ্যামিল্টনের মত ওয়েলিংটনেও সুপার ওভারে বল করতে এসেছিলেন জশপ্রীত বুমরা। তাঁর প্রথম তিন বলে পড়েছিল দুই ক্যাচ। টিম সেইফার্টের প্রথম ক্যাচ ফসকালেন শ্রেয়াস আইয়ার। দ্বিতীয় ক্যাচ ফেলেছিলেন লোকেশ রাহুল। চতুর্থ বলে সেইফার্টের ক্যাচ ধরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এর মধ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে বাউন্ডারিতে বল পাঠিয়েছিলেন যথাক্রমে সেইফার্ট ও কলিন মুনরো। শেষ বলে এক রান হয়েছিল।নিউজিল্য়ান্ড তুলেছিল ১৩ রান। ভারতের দরকার ছিল ১৪ রান।
টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করলে এসেছিলেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহালি। আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে সুপার ওভারে বল করতে এসেছিলেন টিম সাউদি। ঠিক হ্যামিল্টনের মতোই। প্রথম বলেই ছয় মেরেছিলেন রাহুল। পরের বলে মারলেন চার। দুই বলে এসেছিল ১০। চার বলে দরকার ছিল চার রানের। কিন্তু তৃতীয় বলেই আউট রাহুল। তিন বলে চাই চার রান, ক্রিজে কোহালি। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অনে ঠেলে দুই রান নিলেন তিনি। দুই বলে চাই দুই। মিড উইকেটে চার মেরে জেতালেন কোহালি।
শেষ দুই ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১১ রান। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল সাত রান। ২০তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে লোপ্পা ক্যাচ তুলে ফিরলেন রস টেলর (১৮ বলে ২৪)। পাঁচে বলে চাই সাত রান। ড্যারিল মিচেল মারলেন চার। চার বলে চাই তিন রান। লোকেশ রাহুলের থ্রোয়ে রান আউট হলেন সেইফার্ট (৩৯ বলে ৫৭)। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছয়। তিন বলে চাই তিন। দুই বলে চাই দুই। এ বার তুলে মেরে আউট ড্যারিল মিচেল (তিন বলে ৪)। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ক্রিজে মিচেল স্যান্টনার। ফের সুপার ওভার হবে নাকি? উত্তেজনায় কাঁপছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শেষ বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন কুগেলেইজিন। ফলে, দুই দলেরই রান হল সমান-সমান। শার্দুলের ওভারে পড়ল চার উইকেট। ভারতের (১৬৫-৮) সঙ্গে একই বিন্দুতে থামল নিউজিল্যান্ড (১৬৫-৭)। ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভারে।
নির্ধারিত ২০ ওভারে জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৬৬ রান। সেই লক্ষ্যে ধীরে-সুস্থে শুরু করেছিল কিউয়িরা। পঞ্চম ওভারে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন জশপ্রীত বুমরা। মারতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ তুলেছিলেন মার্টিন গাপ্টিল (আট বলে ৪)। তার পর কিউয়িদের টানলেন বাঁ-হাতি ওপেনার কলিন মুনরো। ৩৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৬৪ রানে ফিরলেন মুনরো। বিরাট কোহালির সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হলেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ তোলার পর ভাঙল জুটি। মুনরোর ইনিংসে ছিল ছয়টা চার ও তিনটি ছয়। তিনি ফেরার পরের ওভারেই বোল্ড হলেন টম ব্রুস (০)। যুজবেন্দ্র চহালের বলে বোল্ড হলেন তিনি। ৯৭ রানে পড়েছিল কিউয়িদের তৃতীয় উইকেট।
১৫তম ওভারে যুজবেন্দ্র চহালের পর পর দুই বলে পড়ল ক্যাচ। প্রথমে লং অনে নবদীপ সাইনির হাত থেকে ক্যাচ বেরিয়ে গিয়ে হয়ে গেল ছয়। পরের বলেই সেইফার্টের রিভার্স সুইপ শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো জশপ্রীত বুমরার হাত থেকে বেরিয়ে গেল। সেই ওভারে এল ১৭ রান। তৃতীয় উইকেটে টিম সেইফার্ট ও রস টেলরের জুটিই টানল কিউয়িদের। সেইফার্টের পঞ্চাশ এল ৩২ বলে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আগাগোড়াই চাপে ছিল টিম ইন্ডিয়া। লেগস্পিনার ঈশ সোধির সামনে অস্বস্তিতে দেখাচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু মণীশ পাণ্ডের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে ভদ্রস্থ রান তুলেছিল ভারত। আট উইকেটে ১৬৫ রানে থেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। 
এদিন নিয়মিত উইকেট হারিয়েছিল ভারত। শুরুতে রোহিত শর্মার জায়গায় ওপেনিংয়ে নেমে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না সঞ্জু স্যামসন। বৃহস্পতিবার ওয়েলিংটনে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়েছিলেন তিনি। স্কট কুগেলেজিনের ওভারের প্রথম বলে ছয় হাঁকিয়েছিলেন তিনি। সেই মেজাজেই তৃতীয় বলে মারতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ তুললেন। দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রানে পড়েছিল প্রথম উইকেট।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply